পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালের পথে

পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালের পথে

ইব্রাহিম জাদরান ও সেদিকউল্লাহ আতালির পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস আর তাদের শতরানের জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে নেয় আফগানিস্তান। পরে দারুণ বোলিংয়ে কাজ শেষ করেন ফজলহক ফারুকি, নুর আহমাদ, মোহাম্মদ নাবি ও রশিদ খান। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দেখার হারের প্রতিশোধ নিয়ে মঙ্গলবার শারজাহতে ১৮ রানের জয় তুলে নেয় রশিদের দল।

১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান থেমেছে ১৫১ রানে। এই জয়ে তিন ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেল আফগানিস্তান, পয়েন্ট হলো ৪। সমান পয়েন্ট আছে পাকিস্তানেরও, তবে দুই ম্যাচে কোনো জয় না পাওয়া স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত তলানিতে।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় আফগানিস্তান। তবে সেই ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে শতরানের জুটি গড়েন সেদিকউল্লাহ ও ইব্রাহিম। ধীরগতিতে শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে পঞ্চাশ আর ৭০ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছায় তাদের জুটি। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে তিন ছক্কা ও তিন চারে ৬৪ রান করেন সেদিকউল্লাহ। সমান বল খেলে আট চার ও এক ছক্কায় ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন ইব্রাহিম।

তবে ডেথ ওভারে বল হাতে আলো ছড়ান ফাহিম আশরাফ। থিতু এই দুই ব্যাটারসহ মোট চারটি উইকেট তুলে নেন তিনি। তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৮০ রানের সম্ভাবনা জাগিয়েও আফগানিস্তান থেমে যায় ১৬৯ রানে।

রান তাড়ায় পাকিস্তান শুরু থেকেই ধাক্কা খায়। দ্বিতীয় ওভারেই ফারুকির বলে সাইম আইয়ুব গোল্ডেন ডাক হয়ে ফেরেন। ফাখার জামান ও সাহিবজাদা ফারহানও ইনিংস বড় করতে পারেননি। রান আউট হয়ে ফেরেন অধিনায়ক সালমান আলি আগা। ৬৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে তারা।

পরে আশা জাগিয়েছিলেন ফাহিম আশরাফ, তবে নুর আহমাদ তাকে ফেরান। মাঝখানে রশিদ খান পরপর দুই বলে তুলে নেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি নেন দুটি উইকেট।

শেষ দিকে দশম উইকেটে হারিস রউফের ব্যাটে লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করে পাকিস্তান। মাত্র ১৬ বলে চারটি ছক্কায় ৩৪ রান করেন তিনি। সেই জুটিতে ৪০ রান এলেও ব্যবধান ঘোচাতে যথেষ্ট হয়নি। শেষ পর্যন্ত ১৫১ রানে থামে পাকিস্তান।

বৃহস্পতিবার স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান।

আরইউ