মাদক খাইয়ে নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ইংলিশ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে

মাদক খাইয়ে নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ইংলিশ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে

মাদক মিশিয়ে পানীয় খাওয়ানোর পর নারীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সুপরিচিত ইংলিশ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। কৌশলে দুই নারীকে মাদক সেবন করানোর পর একজনকে নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশি তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।

ইংলিশ গণমাধ্যম ‘ডেইলি টেলিগ্রাফ’ শুক্রবার জানিয়েছে, চলতি বছরের জুনে দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের একটি পাব (পানীয়ের দোকান) এ এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ দায়েরের পর চল্লিশ বয়সী অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে স্কটল্যান্ড মেট্রোপলিটন পুলিশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাস্থল ছিল এসডব্লিউ৬ এলাকা, যা ফুলহ্যাম এবং পার্সন্স গ্রিনকে অন্তর্ভুক্ত করে।

তবে এ বিষয়ে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই ক্রিকেটারের নামও গোপন রাখা হয়েছে।

মেট্রোপলিটন পুলিশ ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানায়, ‘২২ মে, বৃহস্পতিবার এলাকার একটি পাব-এ ঘটে যাওয়া দুই নারীর পানীয়তে মাদক মেশানো এবং এক জনকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তদন্ত করছি। দুই নারীকে মাদক খাওয়ানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাদের মধ্যে একজন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চল্লিশোর্ধ্ব এক ব্যক্তিকে ৫ জুন, বৃহস্পতিবার সতর্কীকরণমূলক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্ত এখনো চলমান এবং এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।’

ক্রিকেট রেগুলেটরের (যা ইংলিশ ক্রিকেটে শৃঙ্খলাজনিত মামলার স্বাধীন সংস্থা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস হাওয়ার্ড গত মাসে বলেছিলেন, ‘খেলাধুলা থেকে যৌন অসদাচরণ দূর করাই আমাদের অগ্রাধিকার।’

গত এক বছরে যৌন অসদাচরণের ঘটনায় দুবার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ক্রিকেট রেগুলেটর। গত আগস্টে এক কোচকে কাউন্টি ক্লাব থেকে চাকরিচ্যুত করার পর নয় মাস পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কারণ তিনি নারী কর্মীদের কাছে ‘যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ ও আপত্তিকর’ ছবি পাঠিয়েছিলেন।

এরপর গত নভেম্বরে আরেকজন কোচকে কাউন্টি দলের প্রাক-মৌসুম সফরে ‘অনৈতিক যৌন আচরণের’ জন্য ছয় মাস পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।