টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ইতিহাস খুব একটা সমৃদ্ধ নয়। বর্তমান র্যাঙ্কিংটাও ১০। তবে সে যাই হোক, আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের ২৪ নম্বর দল হংকংয়ের বিপক্ষে নামার আগে নিশ্চয়ই তা নিয়ে ভাবতে হবে না বাংলাদশকে!
এশিয়া কাপের এই ম্যাচে নামার আগে শেষ ৫টি পূর্ণ ম্যাচের ৪টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। শেষ তিন সিরিজের তিনটিতেই জয়, দুটো আবার শ্রীলঙ্কা আর পাকিস্তানের বিপক্ষে। লিটন দাসের দলের আত্মবিশ্বাসের পারদটা তাই খুব উঁচুতেই থাকার কথা।
তবে হংকং ম্যাচের আগেও বাংলাদেশের ভয় আছে দুটো জায়গায়। দুটোই অবশ্য অতীত সম্পর্কিত। এই ম্যাচে যখন বাংলাদেশ মাঠে নামবে, তখন হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের হার হবে শূন্য, অন্যদিকে প্রতিপক্ষের খাতায় থাকবে শতভাগ জয়ের রেকর্ড।
অবিশ্বাস্য শোনালেও বিষয়টা সত্যিই। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশ হেরেছিল এই হংকংয়ের কাছে। ২ উইকেটের সেই হার অবশ্য সেদিন বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া আটকাতে পারেনি।
তবে এর আগে পরে আর ম্যাচ খেলা হয়নি। দুই দলের মুখোমুখি লড়াই আটকে গেছে ওই একটিতেই। ফলে জয়ের খাতাটাও আর খোলা হয়নি।
এদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে কথা বলছে এই ম্যাচের ভেন্যুর ইতিহাসও। আজ রাত সাড়ে আটটায় লিটনরা নামবেন আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে। সেখানে বাংলাদেশ দলের ইতিহাসটা পুরোপুরি ম্লান।
এই মাঠে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি দলটা। ২০২১ বিশ্বকাপে দুই ম্যাচ এখানে খেলতে হয়েছিল দলকে। দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানের হার সঙ্গী হয়েছিল বাংলাদেশের। ইংল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছিল ৮ উইকেটে, অন্য ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ৬ উইকেটে।
এই মাঠে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের বিপক্ষেও হারের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। ২০২১ বিশ্বকাপের আগে ওয়ার্ম আপ ম্যাচটা যদিও আনুষ্ঠানিক ম্যাচ নয়, তবু সেই ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের কাছে ৩৩ রানের হার দলকে নাড়িয়ে দিয়েছিল পুরোপুরি।
তবে সেসব এখন পুরোপুরি অতীত। শেষ কিছু দিনে বাংলাদেশ গাইছে দিন বদলের গান। তিন সিরিজ জিতেছে ভিন্ন ধারার ক্রিকেট খেলে। সেই একই ধারা ধরে রেখে এখন নিশ্চয়ই হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সব ইতিহাস বদলাতে চাইবেন লিটন দাসরা!