শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়াই করে হারল হংকং

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লড়াই করে হারল হংকং

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ লড়াই করেও জয় ধরা দিল না হংকংয়ের হাতে। নিযাকাত খান ও আনশি রাঠের ব্যাটে পাওয়া লড়াইয়ের পুঁজি যথেষ্ট হয়নি পাথুম নিসাঙ্কার ঝড়ো ব্যাটিং আর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ক্যামিওর সামনে। শেষ পর্যন্ত ৭ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জিতে যায় লঙ্কানরা।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে হংকং নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে। লড়াইয়ের পুঁজির শুরুটা করেন দুই ওপেনার জিশান আলী ও আনশি রাঠ। গড়েন ৪১ রানের জুটি। জিশান ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন রাঠ। ধীরগতিতে খেলে ব্যাটিংকে গুছিয়ে দেন তিনি।

অন্য প্রান্তে এসে ঝড় তোলেন নিযাকাত খান। দু'জনে মিলে ৪৩ বলে যোগ করেন ৬১ রান। ৪৮ রানে থেমে যান রাঠ, তবে নিযাকাত অপরাজিত থাকেন ৫২ রানে। ৩৮ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো ইনিংসে এটি তার ১২তম আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি অর্ধশতক এবং প্রথমবার কোনো ফুল মেম্বার দলের বিপক্ষে। একইসঙ্গে হংকংয়ের হয়ে চলতি আসরে এটি মাত্র দ্বিতীয় অর্ধশতক।

১৭তম ওভারে দু'বার জীবন পান নিযাকাত, সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতে দ্বিধা করেননি। অন্যদিকে রাঠ খেলেন ৪৬ বলে ৪টি চার মেরে, ১০৪.৩৪ স্ট্রাইক রেটে। শ্রীলঙ্কার হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন দুশমন্থ চামিরা, ২৯ রানে নেন ২টি উইকেট।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ২৬ রানে কুসল মেন্ডিসকে হারায় শ্রীলঙ্কা। আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় কামিল মিশারা করেন ১৯ রান। তবে অপর প্রান্ত আগলে রাখেন পাথুম নিসাঙ্কা। কুসল পেরেরাকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৫৭ রানের জুটি।

তবে এখানেই ম্যাচে ফেরে হংকং। ৮ রানের ব্যবধানে তুলে নেয় চারটি উইকেট। দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। তখনই জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে হংকং। কিন্তু ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ঝড়ো ক্যামিও ভাঙে সেই স্বপ্ন। ৯ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ২০ রান করে দলকে জিতিয়ে ফেরেন তিনি।

এক প্রান্তে ব্যাট হাতে জ্বলজ্বলে ছিলেন নিসাঙ্কা। ৪৪ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। হংকংয়ের পক্ষে ইয়াসিম মুর্তজা ৩৭ রানে নেন ২ উইকেট।

এই জয়ে দুই ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোরের পথে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে দিনের অপর ম্যাচে ওমানকে ৪২ রানে হারিয়ে জয় পেয়েছে আরব আমিরাত। তাতে নিশ্চিত হয়ে গেছে ভারতের সুপার ফোরে ওঠাও।