সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের চেয়েও বেশি রান করল হংকং
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশকে রানের জন্য রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছিল। শুরুর দুই ওভার তো রানই পায়নি লিটন দাসের দল। শেষমেশ যদিও জাকের আলী আর শামীম পাটোয়ারীর কল্যাণে ১৩৯ রান করেছে, তবে টি-টোয়েন্টির বিচারে তো বটেই, সে উইকেটের পরিস্থিতি বিবেচনাতেও রানটা ছিল বড্ড কম।
সেই ম্যাচের দুই দিন না পেরোতে সেই শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল হংকং চায়না। তবে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ থেকে ১৪ ধাপ পিছিয়ে থাকা দলটা লঙ্কান বোলারদের সামলাল বাংলাদেশের চেয়েও ভালোভাবে। বাংলাদেশ পুরো পাওয়ারপ্লেতে যে রান তুলতে পারেনি, সে রান হংকং তুলে ফেলেছিল ৩ ওভারেই। ইনিংসও শেষ করেছে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি রান তুলে। সেদিন বাংলাদেশ করেছিল ৫ উইকেটে ১৩৯ রান। আজ হংকং ২০ ওভার শেষে করেছে ১৪৯ রান, তাও মাত্র ৪ উইকেট খুইয়ে।
ইনিংসের শুরুতে ধীরে খেললেও রাঠ দলের ভিত গড়ে দেন। তিনি ৪৬ বলে ৪৮ রানের একটি ইনিংস খেলেন। অন্য প্রান্তে নিজাকাত খান আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। দুজন মিলে ৪৩ বলে যোগ করেন ৬১ রান। রাঠ আউট হন ফিফটির দুই রান আগে।
তবে নিজাকাত শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে যান ৩৮ বলে ৫২ রান করে। এটি তার দ্বাদশ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অর্ধশতক এবং পূর্ণ সদস্য দেশের বিপক্ষে প্রথম। এশিয়া কাপে হংকংয়ের ইতিহাসে এটি মাত্র দ্বিতীয় অর্ধশতক।
নিজাকাতের ইনিংস সহজ ছিল না। ১৭তম ওভারে নুয়ান তুষারার বলে তিনি দু’বার জীবন পান। একবার কুশল মেন্ডিস ক্যাচ ছাড়েন, পরে কুশল পেরেরার হাতে ধরা পড়লেও বলটি নো বল হয়। এর পর তিনি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে খেলেন। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাটেই হংকং লড়াই করার মতো স্কোর পায়।
শ্রীলঙ্কা শুরুতে দ্রুত উইকেট আশা করেছিল। কিন্তু হংকং ওপেনার জিশান আলি কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। তিনি ১৭ বলে করেন ২৩ রান। যদিও শেষে দুশমন্ত চামিরার বলে কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
চামিরা আবারও দলের সেরা বোলার ছিলেন। তিনি ৪ ওভারে নেন ২ উইকেট, দেন ২৯ রান। এর মধ্যে ছিলেন জিশান ও রাঠের উইকেট। মাহিশ থিকশানা ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দেন, হাসারাঙ্গা ১ উইকেট নেন ২৭ রানে।