বিসিবিতে ঢাকা ভিত্তিক ক্লাবগুলোর জন্য ৭৬ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। যাদের ভোটে বিসিবিতে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। তবে মেয়েদের ক্লাবগুলোর জন্য কোনো কাউন্সিলরশিপ নেই বিসিবিতে।
কোয়াব নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন রুমানা আহমেদ। ভোট শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। সেখানে বিসিবিতে নারী ক্লাবের কাউন্সিলরশিপের দাবি তোলেন এবং জানান নারী ক্রিকেটের অগ্রগতি নিয়ে তার কাজ করা লক্ষ্যের কথা।
বলেছেন, ‘এটাতো অবশ্যই, শতভাগ আমরা এটা (বিসিবিতে নারী ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ) চাই। কারণ আমরা দীর্ঘদিন ধরে আমরা এটা মোকাবেলা করছি। ছেলেদের টিমে কাউন্সিলরশিপ আছে বিধায় ছেলেদের এতো ভেল্যু আছে। আর মেয়েদের টিমে কাউন্সিলরশিপ নেই বলে.. মানে আমরা গতবছর থেকে এটা আরও বেশি অনুধাবন করতে পেরেছি যে, মেয়েদের টিমের দিনদিন ভেল্যু কমে আসতেছে।’
‘কেউ ওইভাবে টিম করতে চাচ্ছে না, কারণ আমাদের কোনো কাউন্সিলরশিপ নেই। তাই আমরা আশা করবো যারা এখানে আন্দোলন করছে তাদের আন্দোলন সফল হোক। যদি সবগুলো টিমকে নাও দিতে পারে, এটলিস্ট ৫টা-৬টা কিংবা যে কয়টা পারুক কাউন্সিলরশিপ দিলে আমাদের নারী টিমটা আরও শক্তিশালী হবে। তাতে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করা সম্ভব হবে।’
নারী ক্রিকেটের অগ্রগতি নিয়ে কাজ করার জানিয়ে রুমানা বলেন, ‘যদি আমার সুযোগ আসে আমি অবশ্যই আমার জায়গা থেকে আওয়াজ উঠাবো। এসবক্ষেত্রে আমি কখনও পিছুপা হইনি বা হবো না। আমি চাই যে বাংলাদেশের ক্রিকেটটা যে শুধু ছেলেদের ক্রিকেট, এটা না। নারীরাও এগিয়ে চলছে এবং যেন ভালোভাবে এগিয়ে চলতে পারে সেজন্য আমি সবসময় সমর্থন দিয়ে আসছি এবং দিবো। আমি চাই যে নারীদের অগ্রগতি যেন খুব দ্রুত হয়।’
কোয়াব নেতৃত্বে আসার পেছনে থাকা লক্ষ্যের কথাও জানিয়েছেন রুমানা। বলেছেন, ‘আমি এখানে আসছি একটা লক্ষ্য নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে নারী ক্রিকেট টিমের সাথে রয়েছি। এদের ভোগান্তি বলেন বা ভালো কিছু বলেন, সবকিছুই কাছ থেকে দেখেছি। নারী ক্রিকেট টিমের যে সমস্যা হচ্ছে, মানে নারী ক্রিকেট নিয়ে বাংলাদেশে যে সমস্ত অসুবিধাগুলো আমরা ফেস করছি আমি অবশ্য এগুলো নিয়ে আওয়াজ তুলবো। কোয়াবের যারা সদস্য আছেন এবং প্রেসিডেন্ট পদে যারা দাঁড়িয়েছেন তারা সবাই বলেছেন, আমাদের পাশে আছেন। ক্রিকেট নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন এবং ভালো কিছু করবেন। ’