সোহান-সাইফের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান, নাইম শেখের স্বপ্নভঙ্গ
ঘরোয়া লিগ আর 'এ' দল; যেখানেই সুযোগ পেয়েছেন পারফর্ম করেছেন, সব ফরম্যাটে। কিন্তু নুরুল হাসান সোহানের জাতীয় দলের বন্ধ দরজাটা ফের খুলছিল না। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর কোনো ফরম্যাটেই আর জায়গা পাননি।
অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটলো সোহানের। প্রায় তিন বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন তিনি। ৩১ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার সবশেষ এই ফরম্যাটে খেলেছেন ২০২২ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
এদিকে টপঅর্ডার ব্যাটার সাইফ হাসানও বলতে গেলে প্রায় সাড়ে তিন বছর পর জাতীয় দলে এসেছেন। এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে হাংজুতে জাতীয় দলের ব্যানারে এশিয়ান গেমসে খেললেও সেটি আদতে ছিল 'এ' দল।
তবে ঘরোয়া লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করে সুযোগ পাওয়া নাইম শেখ তার দ্বিতীয় জীবনকে কাজে লাগাতে পারেননি। প্রায় তিন বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরে আগের ব্যর্থতাতেই মনে করিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পেয়েছিলেন। চার নম্বরে নেমে নেতিবাচক ব্যাটিংয়ে ২৯ বলে ৩২ করে অপরাজিত থাকেন। সেট হওয়ার পরও হাত খুলে খেলতে পারেননি। যা কিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার সামর্থ্যে বড় প্রশ্নচিহ্ন এঁকে দেয়। পরের দুই ম্যাচে সুযোগ পাননি।
তারপর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচে সুযোগ দেওয়া হয়। দুটিতেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ, করেন ৩ আর ১০।
সবশেষ 'এ' দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজেও চোখে পড়ার মতো কিছু করতে পারেননি নাইম। সবশেষ ম্যাচে মেলবোর্ন স্টারসের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে ২১ বলে তিনি করেন ১৯ রান।
এরপর আর নির্বাচকরা তাকে এশিয়া কাপের দলে রাখার সাহস করেননি। ফলে দ্বিতীয় জীবনে ভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার সুযোগ হেলায় হারিয়েছেন নাইম। স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়তে হয়েছে তাকে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড
লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, কাজী নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
স্টান্ডবাই (এশিয়া কাপের জন্য): সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, তানভীর ইসলাম এবং হাসান মাহমুদ।