সংগৃহীত ছবি

৭৩ ম্যাচ পর বুমরাহ না মোস্তাফিজ—কে কতটা সফল?

দুই দলে দুজনেই সেরা বোলার। মোস্তাফিজুর রহমানের মতো জাসপ্রিত বুমরাহও মূল অস্ত্র। রান চাপানো, উইকেট তোলা কিংবা ব্যাটারদের পরাস্ত করতে দুজনেরই জুড়ি মেলা ভার। বাংলাদেশ ও ভারতের দুই সেরা অস্ত্রের সক্ষমতা নিয়ে নিশ্চিত ভাবেই প্রশ্ন উঠবে না। তবে সেরা দুইয়ের অর্জনের খেরোখাতায় পার্থক্য করা যেতেই পারে!

এখন পর্যন্ত কুড়ি কুড়ির ক্রিকেটে ৭৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন বুমরাহ। মোস্তাফিজের ঝুলিতে ১১৭টি। ফিজ যখন ৭৩ ম্যাচ খেলেছেন সেই হিসেব ধরে দুজনের তুলনা করা হচ্ছে। এই প্রতিবেদনে দেখানো হবে দুই দলের সেরা দুই অস্ত্রর পার্থক্য। জানা যাবে, উইকেট, রান এবং জয়-পরাজয়ে ৭৩ ম্যাচ শেষে—কে কোথায় ছিলেন!

এশিয়া কাপে দুর্দান্ত শুরু করলেও এখন ধুঁকছেন বুমরাহ। শেষ দুই ম্যাচে বিলিয়েছেন দেদারছে রান। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে ৩০.৬৬ ইকোনমিতে তিনটি উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ। ফিজের ঝুলিতে ৭টি উইকেট। বাংলাদেশকে সুপার ফোরে আনা এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ে বড় অবদান রেখেছেন টাইগার পেসার।

৭৩ ম্যাচ শেষে কে কোথায়

৭৩ টি-টোয়েন্টি খেলা বুমরাহর সংগ্রহে ৯২ উইকেট। ভারতের পেসার উইকেট নিয়েছেন ১৮.১৬ গড়ে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৩.৭৬, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯.৩৩, ইংল্যান্ডের ৯.১১ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৪.৬৬।

৭৩ ম্যাচ শেষে ফিজ ২১.৪৫ গড়ে নিয়েছিলেন ৯৪ উইকেট। অর্থাৎ বুমরাহর থেকে এগিয়েছিলেন টাইগার পেসার। সে সময় পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডসের বিপক্ষে তার গড় ছিল ১৪.৯২, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৩, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৩.৫৫ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০.২৬ গড়।

ইকোনমি রেটে অবশ্য বুমরাহর পেছনে আছেন মোস্তাফিজ। বুমরাহ এখন পর্যন্ত ওভারপ্রতি খরচ করেছেন ৬.৩৬ রান। ফিজ সেখানে ৭.৭৯।

ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত কখনও চার বা তার বেশি উইকেট নিতে পারেননি বুমরাহ। ভারতের মূল পেসারের সেরা বোলিং আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ রানে ৩ উইকেট। তবে মুস্তাফিজের ঝুলিতে চারটি তো বটে ফাইফারও আছে একবার। ইনিংসে চার উইকেটের দেখা ফিজ পেয়েছেন তিনবার। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ২২ রানে ৫ উইকেট। ২০২৬ বিশ্বকাপে কিউইদের কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ফিজ।

তবে জয়ের দিক থেকে বুমরাহ এগিয়ে। বুমরাহ খেলছেন এমন ৭৩ ম্যাচের ৫৫টিতে জিতেছে ভারত। জয় পাওয়া ম্যাচগুলোতে ১৬.৪১ গড়ে ৭৫ উইকেট নেন বুমরাহ। ভারতের হেরে যাওয়া বাকি ১৮ ম্যাচে ১৩টি উইকেট নেন বুমরাহ।

ফিজের শত টি-টোয়েন্টি ছাড়ানো ক্যারিয়ারে ৪১টি ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচগুলোতে ৭.১৫ গড়ে ৩৪ উইকেট নেন। জয় পাওয়া ৩১ ম্যাচে মোস্তাফিজ ছিলেন দুর্দান্ত। বাংলাদেশের জেতা ম্যাচগুলোতে ১৩.৪৫ গড়ে ৬০ উইকেট শিকার করেন ফিজ। একটি ম্যাচে ফল আসেনি, সেই ম্যাচে বোলিংও করেননি মোস্তাফিজ।

আজ রাত সাড়ে আটটায় দুদলের ফাইনাল নিশ্চিতে এগিয়ে যাবার লড়াই। বাংলাদেশ যেমন ফিজের দিকে তাকিয়ে থাকবে, তেমনি বুমরাহকে নিয়েও স্বপ্ন থাকবে ভারতের। ভারত কিংবা বাংলাদেশ দুদেশই দুদলের সেরাকে নিয়ে খসড়া করেই নামবে!