২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের মেন্টর হিসেবে কাজ করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এর বাইরে কোচিংয়ের সঙ্গে তাঁর তেমন কোনো সম্পর্ক নেই।
তবে একটা বিষয়ে সবাই একমত—ধোনির মতো তীক্ষ্ণ ক্রিকেট-মস্তিস্ক খুব কম খেলোয়াড়েরই আছে। মাঠে ফিল্ড সাজানো, ব্যাটসম্যানের মনের খবর পড়া কিংবা উইকেটের পেছনে অবিশ্বাস্য সব কীর্তি—সব মিলিয়ে ধোনি অনন্য এক উচ্চতায়। এখন পর্যন্ত একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও জিতেছেন তিনি।
শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই নয়, আইপিএলেও ধোনি কিংবদন্তি। চেন্নাই সুপার কিংসকে পাঁচবার শিরোপা জিতিয়েছেন। তাঁর অধীনে খেলে প্রায় সবাই কোনো না কোনোভাবে আরও ভালো ক্রিকেটার হয়েছেন। সুতরাং অনুমান করা যায়, কোচ হলেও খারাপ করতেন না ধোনি।
তবে এখনো ধোনি অবসরে যাননি, আইপিএল খেলছেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। শরীর কতদিন তাঁকে টেনে নেবে, সেটা কেউ জানে না। কে জানে, হয়তো আসছে মৌসুমটাই আইপিএলে তাঁর শেষ।
প্রশ্নটা তাই নানা সময় শোনা যায়—খেলা ছেড়ে দিলে ধোনি কি ভারতের প্রধান কোচ হওয়ার কথা ভাববেন? সাবেক ভারতীয় ওপেনার আকাশ চোপড়ার মতে, এর সম্ভাবনা একেবারেই নেই। তাঁর মতে, এটা ধোনির ধাঁচই নয়। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আকাশ বলেছেন, ‘এটা বড় একটা বিষয়। আমি মনে করি না, ধোনির (কোচিংয়ে) আগ্রহ আছে। কোচিং খুব কঠিন কাজ। খেলোয়াড় থাকার মতোই ব্যস্ততা, কখনো তার চেয়েও বেশি। পরিবারকে সময় দেওয়ার ব্যাপার আছে। আর ও তো সারা জীবনই সফর করে গেছে। এখন আর সেই জীবন চাইবে না।’
চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে ধোনির অঙ্গীকার অনেক দিনের। তাই ভবিষ্যতে হয়তো আইপিএলে তাঁকে ডাগআউটে দেখা যাবে। কিন্তু ভারতের পূর্ণকালীন কোচ হওয়া মানে বছরে অন্তত ১০ মাস ব্যস্ততা। সেটা ধোনি দেবেন বলে আকাশ মনে করেন না, ‘এ কারণেই অনেক খেলোয়াড় কোচিংয়ে আসে না। এলেও সেটা দুই মাসের আইপিএল মৌসুমের জন্য। কিন্তু ভারতের প্রধান কোচ হওয়া মানে বছরে ১০ মাস ব্যস্ত থাকা। ধোনির সেই সময় আদৌ আছে কি না, আমার সন্দেহ আছে। যদি সত্যিই থাকে, তাহলে আমি খুব অবাক হব।’