৭০ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়েছেন লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়।

হংকংকে হারিয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

এশিয়া কাপ টি-টুয়েন্টিতে গ্রুপপর্বে প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে কাঙ্খিত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শক্তিমত্তায় পিছিয়ে থাকলেও টাইগারদের বিপক্ষে লড়াইয়ের পূঁজি গড়েছিল হংকং। তবে লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়ের ৯৫ রানের জুটিতে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে হংকংকে আগে ব্যাটে পাঠান টাইগার্স অধিনায়ক লিটন দাস। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান তোলে ইয়াসিম মুরতাজার দল। জবাবে নেমে ১৪ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে বাংলাদেশ।

রানতাড়ায় নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৪ রান। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে পারভেজ হোসেন ইমন ১৪ বল ১৯ রান করে ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ৫.৪ ওভারে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ফেরেন ১৮ বলে ১৪ রান করে।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন ও হৃদয় মিলে ৭০ বলে ৯৫ রান যোগ করেন। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে লিটন বোল্ড হয়ে ফিরে যান। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন। পরে জাকের আলি অনিককে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হৃদয়। ১ চারে ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন হৃদয়। রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি জাকের।

হংকংয়ের আতিক ইকবাল ২ উইকেট নেন। আয়ুশ শুক্লা নেন এক উইকেট।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি হংকংয়ের। প্রথম ওভারে কেবল ২ রান আদায় করতে পারেন দুওপেনার জিসান আলি এবং আংশুমান রাঠে। দ্বিতীয় ওভারে তৃতীয় বলে ৭ রানে জুটি ভাঙে তাদের। ৫ বলে ৪ রান করে ফিরের তাসকিন আহমেদের শিকার হন আংশুমান। টাইগার পেসারের বল গুড লেন্থের ডেলিভারি আংশুমান রাঠের ব্যাট ছুঁয়ে যায় লিটন দাসের গ্লাভসে। বাংলাদেশের আবেদন করলে সেটি নাকোচ করেন আম্পায়ার। পরে রিভিউ নিলে আউট হয়ে ফেরেন আংশুমান। ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় হংকং।

৩০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় হংকং। ৪.৩ ওভারে তানজিম সাকিবের বলে মিড অনের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান বাবর হায়াত। পরের বলে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন হংকং ব্যাটার, কিন্তু বোল্ড হয়ে যান। ১২ বলে ১৪ রান করেন।

জিসান এবং নিজাকাত খানের ব্যাটে ভর করে ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৬৪ রান সংগ্রহ করে হংকং। ১১.৩ ওভারে ৭১ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় হংকং। জিসানকে ফেরান তানজিম সাকিব। টাইগার পেসারের লেগ স্টাম্পের উপরে করা বলে টপ এজ হয়ে ধরা পড়েন মোস্তাফিজুরের হাতে। চারটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৪ বলে ৩০ করেন।

জিসান ফেরার পর চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইয়াসিম এবং নিজাকাত মিলে ৩৩ বলে ৪৬ রান যোগ করেন। ১৭.১ ওভারে দলীয় ১১৭ রানে ইয়াসিম ফিরলে জুটি ভাঙে। মোস্তাফিজের অফস্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি এক্সট্রা কভারে পাঠান নিজাকাত। ইয়াসিম ননস্ট্রাইক থেকে বেরিয়ে যান রান নিতে। তবে নিজাকাত তাকে ফেরত পাঠান। ফেরার আগে রিশাদের থ্রোতে বল পেয়ে স্টাম্প ভাঙেন মোস্তাফিজ। মুরতাজা ফেরেন ১৯ বলে ২৮ রান করে, ছিল দুটি করে চার ও ছক্কার মার।

১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে জোড়া উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। ৪০ বলে ৪২ রান করা নিজাকাত খানকে ফেরানোর পর এলবিডব্লিউ করে শূন্য রানে ফেরান কিঞ্চিত শাহকে । সপ্তম উইকেট আসে তাসকিনের বলে, টাইগার পেসারের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে জাকেরের হাতে ধরা পড়েন হংকং ব্যাটার আইজাজ খান। ৬ বলে ৫ রান করে সাজ ঘরে ফিরে যান। পরে কালহান চাল্লু আর এহসান ইনিংস শেষ করেন।

বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে তানজিম সাকিব ৪ ওভারে একটি মেডেন দিয়ে ২১ রানে নেন ২ উইকেট। রিশাদ ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ৩৮ রানে তাসকিন নেন দুটি উইকেট।