ইংল্যান্ডের মাটিতেই তাদের ধরাশায়ী করলো টাইগার যুবারা
সময়টা বেশ ভালো যাচ্ছে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের। সদ্যই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে জিতেছে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা, এবার ইংল্যান্ডের মাটিতে তাদেরকেই ধরাশায়ী করলো টাইগার যুবারা।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশের যুবারা। ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে লফবরোতে থ্রি লায়ন্সদের ৮৭ রানে হারিয়েছে আজিজুল হাকিমরা।
শুক্রবার টেসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রায় তিন শ’র কাছাকাছি পুঁজি পায় বাংলাদেশ। রিজান হোসেনের সেঞ্চুরি আর কালাম সিদ্দিকীর হাফ সেঞ্চুরিতে ৪৯.২ ওভারে ২৯২ রান করে যুবা টাইগাররা।
জবাব দিতে নামা স্বাগতিকদের জয়ের মুখ দেখতে দেননি সামিউন বশির, স্বাধীন ইসলামরা। তাদের দু’জনের স্পিনে ইংলিশরা থেমেছে ৩২.২ ওভারে মাত্র ২০৫ রানে। সামিউন ৯ রানে নেন ৪ উইকেট।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগ। তাদের দু’জনের জুটি ৮ম ওভার পর্যন্ত দীর্ঘ হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি রিফাত। ফেরেন ১৮ বলে ১১ রানে।
পাওয়ার প্লে শেষে আউট হয়েছেন আজিজুল হাকিমও। বাংলাদেশের অধিনায়ক (৯) দুই অংকে যেতে পারেননি।
খানিকটা পর ফেরেন জাওয়াদও। দারুণ ব্যাটিং করলেও হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি তার। ৩৮ বলে করেন ৪০ রান।
দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে যখন বিপাকে বাংলাদেশ, তখন জুটি গড়ে সফরকারীদের টেনে তোলার চেষ্টা করেন কালাম সিদ্দিকী ও রিজান। দু’জনে গড়েন ১৪৮ রানের দারুণ জুটি।
জুটি ভাঙে কালাম সিদ্দিকীর বিদায়ে, ৮৪ বলে ৬৮ রান করে আউট হন তিনি। পরের বলেউ আউট হন আব্দুল্লাহও। আর ভালো শুরু পেলেও শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেননি সামিউন বশির। ১৩ বলে করেন ২১ রান।
পরবর্তীতে শাহরিয়ার আল আমিনের সাথে জুটি গড়েন রিজান। পৌঁছে যান তিন অংকের ঘরে। তবে আর রান বাড়াতে পারেননি ১০১ বলে ১০০ করেই আউট হন তিনি। ২৩ বলে ২৫ রান করেন আল আমিন।
বাকিদের মাঝে আর কেউ থিতু হতে না পারলে ৪ বল আগেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের হয়ে মিন্টো ৫টি ও হটন লয়ি নিয়েছেন ৩টি উইকেট।
জবাব দিতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তিনে নামা ইসাক মোহাম্মদ ছাড়া আর কেউ থিতু হতে পারেননি। বেনিসন করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান।
সামিউনের ৪ ও স্বাধীনের জোড়া উইকেটে তারা ৩২.২ ওভারেই গুটিয়ে যায়। তাতে বড় জয়ে সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ।