ব্রিটজকে-লুঙ্গির রেকর্ডের মুখে অস্ট্রেলিয়ার টানা পঞ্চম সিরিজ হার
ব্যাট হাতে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক ব্যাটার ম্যাথু ব্রিটজকে। অভিষেকের পর টানা চতুর্থ ওয়ানডেতে তিনি পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস খেলেছেন। তার ৮৮ এবং ত্রিস্তান স্টাবসের ৭৪ রানে ভর করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৭৭ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর বল হাতে স্বাগতিক অজিদের নাস্তানাবুদ করেছেন পেসার লুঙ্গি এনগিডি। তার ফাইফারে ১৯৩ রানে গুটিয়ে গেছে মিচেল মার্শের দল।
ম্যাকাইয়ে আজ (শুক্রবার) দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮৪ রানে জিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে প্রোটিয়ারা। এ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টানা পঞ্চম ওয়ানডে সিরিজে হারল অস্ট্রেলিয়া। এ ছাড়া সবমিলিয়ে নিজেদের সর্বশেষ আট ওয়ানডের মধ্যে তারা সাতটিতেই হারল। বিপরীতে অজিদের বিপক্ষে হওয়া সর্বশেষ ১০ ওয়ানডে সিরিজের মধ্যে আটটিতেই জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বশেষ ২১ ম্যাচে তাদের জয় ১৭টিতে।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৯৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। ফলে এই ম্যাচ ছিল তাদের সিরিজ হারানোর লড়াই। আর প্রোটিয়ারা এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিতের লক্ষ্যে নেমেছিল। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে টেম্বা বাভুমার দল তোলে ২৭৭ রান। ব্রিটজকে সর্বোচ্চ ৮৮ এবং স্টাবস ৭৪ রান করেন। এ ছাড়া টনি ডি জর্জি ৩৮ এবং উইয়ান মুল্ডার ২২ রান করলে লড়াইয়ের পুঁজি পায় সফরকারীরা। অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা। এ ছাড়া জাভিয়ের বার্টলেট, নাথান এলিস ও মার্নাস লাবুশেন দুটি করে শিকার করেন।
এই ম্যাচে ফিফটি হাঁকিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন ব্রিটজকে। ব্রিটজকে কতটা উড়ন্ত ফর্মে আছেন তা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম চার ম্যাচের পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। তার রানের চিত্রটা যথাক্রমে– ১৫০, ৮৩, ৫৭ ও ৮৮। ওয়ানডের ইতিহাসে তিনিই প্রথম কোনো ব্যাটার, যিনি অভিষেকের পর চার ম্যাচেই পঞ্চাশোর্ধ রান করলেন। সবমিলিয়ে ৪ ম্যাচে ৯৪.৫০ গড়ে করলেন ৩৭৮ রান। ওয়ানডেতে অভিষেকের পর টানা চারটি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলার রেকর্ড ছিল ভারতীয় ব্যাটার নভোজাত সিং সিধুর–ও। যদিও সিরিজের মাঝে একটি ম্যাচে তার ব্যাটিংয়ের সুযোগ হয়নি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটাই হয় বিপর্যস্ত। ৭ রানেই তারা দুই উইকেট হারায়। এরপর জশ ইংলিস ৭৪ বলে ৮৭ রান করে লড়াই জমালেও লুঙ্গি এনগিডির দাপটের সামনে অজিদের ব্যাটিং লাইনআপ মুখ থুবড়ে পড়ে। একপ্রান্ত আগলে রাখা ইংলিস আউট হওয়ার পর দ্রুত ভেঙে পড়ে ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ১৯৩ রানে। এনগিডির ঝড়েই অস্ট্রেলিয়ার শেষ ৫ উইকেট পড়ে মাত্র ১৮ রানে।
ইংলিশ ছাড়া অজিদের পক্ষে ক্যামেরন গ্রিন ৩৫ ও অধিনায়ক মার্শ ১৮ রান করেন। আর কেউ বলার মতো রান না পাওয়ায় অস্ট্রেলিয়া ৩৭.৪ ওভারেই ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। অজিদের দ্রুতই গুটিয়ে দেওয়ার পেছনে প্রোটিয়াদের মূল নায়ক এনগিডি। ৪২ রানে তিনি ৫ উইকেট শিকার করেছেন। ওয়ানডেতে দু’বার ফাইফার পেয়েছেন এই ডানহাতি পেসার, আরও দুটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এ ছাড়া নান্দ্রে বার্গার ও সেনুরান মুথুশামি ২টি করে শিকার করেন।
এএইচএস