নারী বিশ্বকাপের পরিবর্তিত সূচি

বদলে গেল বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের ভেন্যু

অনেকদিন ধরেই আলোচনা হচ্ছিল বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে। যেখানে নারী বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল, বাংলাদেশ-ভারত লড়াইসহ চারটি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আইপিএলে বিরাট কোহলিদের শিরোপা উৎসব–ই কাল হয়ে দাঁড়াল। বেঙ্গালুরুতে পদপিষ্ট হয়ে নিহত হন ১১ জন। ফলস্বরূপ ঘরোয়া ক্রিকেটের পর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়ও ভেন্যুটিকে বাদ দেওয়া হলো!

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের মাটিতে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর বসবে। যেখানে পাঁচটি ভেন্যুর মধ্যে একটি ছিল বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী। তার বদলে নাভি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মেগা টুর্নামেন্টটিতে পাকিস্তান খেলবে নিরপেক্ষ ভেন্যু শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে। তারা ফাইনালে না উঠলে ম্যাচটিও বেঙ্গালুরুতে হওয়ার কথা ছিল। এখন সেই ম্যাচসহ ৫ ম্যাচের ভেন্যু বদলে পাতিল স্টেডিয়ামে নেওয়া হয়েছে।

৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে নারী বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসর। একটি বাদে বাকি পাঁচ ভেন্যু অপরিবর্তিত রয়েছে। ৮ দলের এই প্রতিযোগিতায় উদ্বোধনী ম্যাচের ভেন্যু গুয়াহাটির এসিএ স্টেডিয়ামসহ টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো হবে– ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়াম, ভিশাখাপত্নমের এসিএ-ভিডিসিএ স্টেডিয়াম ও কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। এর সঙ্গে বেঙ্গালুরুর বদলে যুক্ত হলো নাভি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়াম।

একইসঙ্গে নাভি মুম্বাই ছাড়া কয়েকটি ম্যাচের ভেন্যুতেও বদল এসেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ভারত-শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী ম্যাচ ছাড়াও ৩ অক্টোবর ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা, ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশ-ভারত ও ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হওয়ার কথা ছিল বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। তবে পরিবর্তিত সূচিতে উদ্বোধনী ও ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ নাভি মুম্বাইয়ের বদলে গুয়াহাটিতে হবে। এ ছাড়া ১১ অক্টোবর ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা গুয়াহাটিতে খেলার কথা ছিল। সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কলম্বোতে। নাভি মুম্বাইয়ে হবে গ্রুপপর্বের দুটি ম্যাচ– ২৩ অক্টোবর ভারত-নিউজিল্যান্ড এবং ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশ-ভারত।

বিশ্বকাপের আগে ভারতের ঘরোয়া প্রতিযোগিতা মহারাজা টি-টোয়েন্টি ট্রফিও আয়োজনের কথা ছিল চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। পুলিশের কাছ থেকে সেই প্রতিযোগিতার ছাড়পত্র পায়নি কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থা। ফলে প্রতিযোগিতা সরিয়ে দেওয়া হয় মাইসুরুর শ্রীকান্তদত্ত স্টেডিয়ামে। ১১ থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত সেই প্রতিযোগিতা চলছে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। কর্ণাটক ক্রিকেট সংস্থাও দর্শকশূন্য মাঠে আয়োজনের কথা বলেছিল, তাও তাদের অনুমতি মেলেনি। একইভাবে বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনেও তারা একই অভিজ্ঞতার শিকার হলো।

আরও পড়ুন

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচসূচি (খেলা শুরু বিকেল সাড়ে ৩টায়)

এএইচএস