খাতা চ্যালেঞ্জে করে জিপিএ-৫ পেল ১১৪৬ জন, ফেল থেকে পাস ৪৭৯২

খাতা চ্যালেঞ্জে করে জিপিএ-৫ পেল ১১৪৬ জন, ফেল থেকে পাস ৪৭৯২

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণ বা খাতা চ্যালেঞ্জের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে নতুন করে পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ১৪৬ জন। আর ফেল থেকে পাস করেছেন ৪ হাজার ৭৯২ জন।

রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে এ ফল প্রকাশ করা হয়। পরে স্ব স্ব শিক্ষা বোর্ড থেকে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। খাতা চ্যালেঞ্জে যাদের ফল পরিবর্তন হয়েছে, তাদের মোবাইল ফোনে বোর্ড থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসএমএসের মাধ্যমে ফল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট থেকেও শিক্ষার্থীরা নিজের ফল দেখতে পারছেন।

নতুন করে জিপিএ-৫ পেলো কোন বোর্ডে কতজন
প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী- ঢাকা বোর্ডে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮৬ জন, যশোরে ২৭১, ময়মনসিংহে ১৬৬, বরিশালে ২৬, রাsজশাহীতে ৩৫, চট্টগ্রামে ৬৫, সিলেটে ২২, দিনাজপুরে ৫৭ ও কুমিল্লায় ৬৭ জন নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিলে ১৩৯ জন ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসিতে ১২ জন পরীক্ষার্থী নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

ফেল থেকে পাস কোন বোর্ডে কতজন
গত ১০ জুলাই প্রকাশিত ফলাফলে ফেল করেছিল এমন ৪ হাজার ৭৯২ জন পরীক্ষার্থী খাতা চ্যালেঞ্জ করে পাস করেছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাস করেছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে। এ বোর্ডে ফেল থেকে পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৬৫৪ জন। ফেল থেকে পাসের হিসাবে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মাদরাসা বোর্ডে নতুন করে পাস করেছে ৯৯১ জন।

সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৯৩ জন ফেল থেকে পাস করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে। এরপরের অবস্থানে থাকা ময়মনসিংহ বোর্ডে ফেল থেকে পাসের সংখ্যা ২১০ জন। এছাড়া কুমিল্লা বোর্ডে ১৯০ জন, যশোরে ১৮৭, দিনাজপুরে ৯৯, চট্টগ্রামে ৬৪, রাজশাহীতে ৪৮, সিলেটে ৩০ এবং বরিশালে ২৬ জন নতুন করে পাস করেছে।

শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, গত ১১ জুলাই থেকে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু হয়, যা চলে ১৭ জুলাই পর্যন্ত। শিক্ষার্থীদের একাধিক বিষয় ও পত্রের খাতা চ্যালেঞ্জের সুযোগ রাখা হয়েছিল। পুনর্নিরীক্ষণে যারা আবেদন করেছে, তাদের আবেদনকৃত বিষয় বা পত্রের উত্তরপত্র বা খাতার নম্বর পুনরায় গোনা হয়। এছাড়া ঠিকমতো নম্বরগুলো বসানো হয়েছে কি না, রোল নম্বরের পাশে সঠিক নম্বরটি দেওয়া হয়েছে কি না, তা যাচাই করা হয়। নতুন করে খাতা মূল্যায়ন করা হয় না।

১১টি শিক্ষা বোর্ডের মোর্চা বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির জাগো নিউজকে বলেন, অনেক সময় একজন পরীক্ষার্থী ভালো নম্বর পেলেও তা হিসাব কষতে বা নির্ধারিত জায়গায় বসাতে ভুল হতে পারে। খাতা যারা দেখেন, তারাও তো মানুষ।

‘তবে আমরা কেউই এ ধরনের ভুল ও ত্রুটিপূর্ণ ফলাফল প্রত্যাশা করি না। এজন্য যেসব শিক্ষক খাতা দেখায় ভুল বা অবহেলা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ বলেও জানান ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান।

এএএইচ/জেএইচ/জিকেএস