মাসহ কুবি শিক্ষার্থী খুন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে বিলম্ব হলে শহর অচলের হুমকি

মাসহ কুবি শিক্ষার্থী খুন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে বিলম্ব হলে শহর অচলের হুমকি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও তার মাকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ মিছিল থেকে শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে কুমিল্লা শহর অচল করে দেওয়া হবে।

সোমবার দুপুর ১টায় কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ের পূবালী চত্বরে শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করেন।

এ সময় তাদের ‘বিচার, বিচার, বিচার চাই- প্রশাসন বিচার চাই' ‘আমার বোন কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘সুমাইয়ার রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’ এসব স্লোগান দেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়ার কথা জানান।

মানববন্ধনে কুবি শিক্ষার্থী হাসান অন্তর বলেন, রোববার রাতে কুমিল্লায় সুমাইয়া ও তার মাকে ভাড়া বাসায় হত্যা করা হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা হুঁশিয়ারি দিচ্ছি- আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সঠিক তদন্ত না হলে কুমিল্লা শহর অচল করে দেওয়া হবে।

ভুক্তভোগীর সহপাঠী ও লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মুনিয়া আফরোজ বলেন, আমাদের সহপাঠী ও তার মায়ের নির্মম হত্যাকাণ্ডে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এ ধরনের নৃশংস ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং জড়িত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক, যেন আর কোনো পরিবার এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

জানা যায়, কুমিল্লার উত্তর কালিয়াজুড়ি এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন রিন্তী (২৪) ও তার মা ফাতেমা আক্তার রুমার (৫০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ এটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে দেখছে।

পুলিশের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিছানায় সামান্য রক্ত এবং গলায় কালো দাগ পাওয়া গেছে।

পরিবারটি কুমিল্লা শহরের নেলী কটেজে ভাড়া থাকতেন, যেখানে নিচতলায় একটি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। বাড়ির মালিক এবং স্কুল কর্মকর্তারা জানান, সকালে বাসায় এক অপরিচিত ব্যক্তির প্রবেশ নিয়ে তারা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা শিক্ষার্থী ও তার মায়ের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী বলেন, আমরা দ্রুততম সময়ে দোষীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করব। ইতোমধ্যে কিছু আলামত পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে তা বলা যাচ্ছে না। আমরা তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।