নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, ‘ফ্যাসিস্ট’ শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিচার নিশ্চিত না করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন দেওয়া যাবে না—এমন দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। একইসাথে শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়ারও দাবি জানায় সংগঠনটি।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব দাবি তুলে ধরে ছাত্রদল।
মানববন্ধনে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “আমরা জকসু চাই, তবে এ ক্যাম্পাসে কোনো গণহত্যাকারী কিংবা ফ্যাসিস্টদের বিচরণ থাকবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পূরক বৃত্তি বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিতে হবে।”
উপাচার্যের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি আরও বলেন, “কুসুম কুসুম আন্দোলন দিয়ে গদি রক্ষা সম্ভব নয়। আমরাও অবরুদ্ধ করতে পারি। ভেতর থেকে নয়, বাইরে রেখে তালা দেবো। সচিবালয় বা ইউজিসিতে কোনো ফাইল প্রয়োজন হলে তবেই তালা খোলা হবে, তার আগে নয়।”
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “অন্যান্য ক্যাম্পাসে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের বিচার হয়েছে, কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে আছে। তাদের বিচার না করে জকসু নির্বাচন দিলে ভোট দেবে ছাত্রলীগ, ভিপি হবে ছাত্রলীগ। আমরা অবশ্যই জকসু নির্বাচন চাই, তবে আগে বিচারের ব্যবস্থা হোক। কাল বিচার হলে, পরশুই নির্বাচন হোক—আমাদের আপত্তি নেই।”
তিনি আরও বলেন, “একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী জকসু নির্বাচনের নামে শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি সম্পূরক বৃত্তিকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। তাদের এই উদ্দেশ্য সফল হবে না।”
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জাফর আহম্মদ, সুমন সরদার, শাহরিয়ার হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, রুপোন্তি রত্না, রাসেল হোসেন, সাখাওয়াতুল ইসলাম পরাগ, নাহিয়ান অনিক, রাশেদ আমিন ও রবিউল ইসলাম।
এ সময় সংগঠনটির অন্যান্য নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
ইএইচ