অযত্নে বেড়ে ওঠা শৈবাল থেকে হচ্ছে পুষ্টিকর খাবার-প্রসাধনী
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) সামুদ্রিক শৈবাল গবেষণায় নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। উপকূলে অযত্নে বেড়ে ওঠা শৈবাল প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি হচ্ছে নানা পুষ্টিকর খাবার ও প্রসাধনী সামগ্রী।
পবিপ্রবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ফিসারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কয়েক মাস ধরে শৈবাল চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে কাজ করছেন। তাদের হাতে তৈরি হচ্ছে আইসক্রিম, মিষ্টি, জিলাপি, বিস্কুট, শুশির উপকরণ নুরি শিটসহ নানা খাবার। পাশাপাশি ফুড সাপ্লিমেন্ট ট্যাবলেট, সাবান, উপটানসহ প্রসাধনীও তৈরি হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা নিজেরাই এসব খাবারের স্বাদ পরীক্ষা করেছেন। তাদের অনেকে আশা প্রকাশ করেছেন, বাজারজাত হলে পণ্যগুলোর ভালো চাহিদা তৈরি হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. রাজীব সরকার বলেন, আমি শৈবালকে সামুদ্রিক সবজি বলি। এতে রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেলস। প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকায় শরীরে এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শৈবাল থেকে বায়োপ্লাস্টিক ও বায়োডিজেলও তৈরি করা যায়।
খাদ্য মাইক্রোবায়োলজি ও নিরাপত্তা বিভাগের অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং প্রাণী ও উদ্ভিজ্জ উপকরণের ওপর চাপ কমাতে বিকল্প হিসেবে শৈবালের গুরুত্ব অনেক।
লুথ্যারন হেলথ কেয়ারের চিকিৎসক ডা. মোস্তারিয়া জান্নাত যুগান্তরকে বলেন, সামুদ্রিক শৈবালে আছে উচ্চমাত্রার ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ও ওমেগা–৩। এগুলো রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ত্বক ও চুলের যত্নেও শৈবাল বেশ কার্যকর।