জাকসুর নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. লুৎফুল এলাহী

খুশিতে কাঁদলেন জুলাইয়ে চোখ হারানো জাবি অধ্যাপক লুৎফুল এলাহী

ভোটের দুদিন পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা করার কারণে নির্বাচন কমিশনকে বেশ বেগ পোহাতে হয়।ফল প্রকাশ বিলম্ব হওয়ায় সমালোচনার মুখেও পড়েন তারা।

অপরদিকে ছাত্রদলসহ চারটি প্যানেল ও স্বতন্ত্র পাঁচ প্রার্থীর নির্বাচন বয়কট ও দুজন নির্বাচন কমিশনারসহ বিএনপিপন্থি চার শিক্ষক পদত্যাগ করলে ‘চাপে’ পড়েন কমিশনের বাকি সদস্যরা।তবে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ফল ঘোষণা করে এই নির্বাচনকে সফল করতে সক্ষম হন তারা। তিন দিনের অক্লান্ত পরিশ্রম আর কষ্টের পর ফল ঘোষণা করতে পেরে নির্বাচনের কমিশনের অনেক সদস্যের চোখে-মুখে ছিল আনন্দের ঝিলিক। নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. লুৎফুল এলাহী তো আনন্দে কেঁদেই ফেলেন।বয়োজ্যেষ্ঠ এই অধ্যাপকের অঝোরে কান্নার বেশ কয়েকটি ছবি এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ড. মো. লুৎফুল এলাহী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক।জুলাই বিপ্লবে তার অবদান ছিল অসামান্য। ১৫ জুলাই আন্দোলনের সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষার্থীরা আটকা পড়েন। সেখানে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হন এই অধ্যাপক। গুলিতে তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তিনি এখন দেখতে পান না। তবে চিকিৎসায় তার চোখের আলো ফিরবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, জাকসু নির্বাচনে ২৫টি পদের মধ্য ২০টিতেই শিবিরের প্যানেলের প্রার্থীরা নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছে। ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু ও জিএস পদে ছাত্রশিবির-নেতৃত্বাধীন প্যানেল সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের মাজহারুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে এজিএস (ছাত্র) পদে ফেরদৌস আল হাসান ও এজিএস (ছাত্রী) পদে আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা নির্বাচিত হয়েছেন। তারা দুজনই ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী।