ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। ফাইল ছবি

পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে ফেসবুকে তিনি একটি পোস্ট করেন। এতে বলেন, পরিকল্পিত কারচুপির এ ফলাফল দুপুরের পরপরই অনুমান করেছি। নিজেদের মতো করে সংখ্যা বসিয়ে নিন। এ পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম।

আবিদুলের এ পোস্টের আগেই অন্তত তিনটি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।

কার্জন হল ভোটকেন্দ্রে ফজলুল হক হলের ফলাফলে ডাকসুর ভিপি পদে আবু সাদিক কায়েম ৮৪১, আবিদুল ইসলাম ১৮১; উমামা ফাতেমা ১৫৩; শামীম হোসেন ১৪১; আবদুল কাদের ৪৭ ও বিন ইয়ামিন মোল্লা ৬ ভোট পেয়েছেন। একই হলে জিএস পদে ফরহাদ হোসেন ৫৮৯; আবু বাকের মজুমদার ৩৪১, তানভির বারী হামিম ২২৮ ও মেঘ মল্লার বসু ৯৯ ভোট পেয়েছেন।

অমর একুশে হলের ফলাফলে ডাকসুর ভিপি পদে আবু সাদিক কায়েম ৬৪৪, আবিদুল ইসলাম ১৪১; উমামা ফাতেমা ৯০; শামীম হোসেন ১১১; আবদুল কাদের ৩৬ ও বিন ইয়ামিন মোল্লা ১ ভোট পেয়েছেন। একই হলে জিএস পদে ফরহাদ হোসেন ৪৬৬; তানভির বারী হামিম ১৮০, আবু বাকের মজুমদার ১৪৭ ও মেঘ মল্লার বসু ৮৬ ভোট পেয়েছেন।

এছাড়া, সুফিয়া কামাল হলের ফলাফলে ডাকসুর ভিপি পদে আবু সাদিক কায়েম ১২৭০; আবিদুল ইসলাম ৪২৩; উমামা ফাতেমা ৫৪৭; আবদুল কাদের ৫৫ ভোট পেয়েছেন। একই হলে জিএস পদে ফরহাদ হোসেন ৯৬৪; মেঘ মল্লার বসু ৫০৭; আবু বাকের মজুমদার ২১৬, আরাফাত ৪২৮ ও তানভির বারী হামিম ৪০২ ভোট পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডাকসুর ভোটগ্রাহণ চলে। এবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে ডাকসু এবং হল সংসদে শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ চলে। এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ ভোটের বিপরীতে ১৩ ছাত্র হলে এই সংখ্যা ২০ হাজার ৯১৫ জন।

ডাকসুতে ২৮টি পদের জন্য মোট ৪৭১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন। প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪টি। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ১ হাজার ৩৫ জন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এবার ভোটারদের ৪১টি ভোট দিতে হয়েছে।

এবারের ডাকসু ভোটে আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ মিলিয়ে অন্তত ১০টি প্যানেল অংশ নিয়েছে। এর বাইরে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন প্রার্থীদের আরেকটি অংশ।

দিনভর কোনো ধরনের সংঘাত সংঘর্ষ ছাড়াই ভোটগ্রহণ হলেও প্রার্থীদের অনেকে একে অপরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি ভোটে কারচুপির অভিযোগও তুলেছেন কেউ কেউ।