একদফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন ২৪ এর জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী এবং জুলাই আন্দোলনের পক্ষে ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, বরিশাল ও সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সব সাধারণ শিক্ষার্থীরা
রোববার (১০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সংস্কার আন্দোলনের আয়োজনে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।
তারা জানান, আমরা দীর্ঘ তিন মাস ধরে স্ব-স্ব ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের কথায় কোনো কর্ণপাত না করায়, গত ২৭ জুলাই থেকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছি। গত ২৮ জুলাই আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ৫শ শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত করে। এরপর ৩১ জুলাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নয় দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম, কিন্তু ১০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও আমাদের কোনো লিখিত সমাধান দেওয়া হয়নি। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ থেকে আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছি।
তারা বলেন, আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সংস্কার আন্দোলনের যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি।
চারটি বিশেষায়িত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে চলমান সমস্যাবলি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘ ১৮ বছরেও একজন স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগে ব্যর্থতা, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা ও জটিলতা, ফলে শিক্ষক সংকট চরম পর্যায়ে, গবেষণা পরিবেশ সৃষ্টি ও দক্ষ জনবল নিয়োগে ব্যর্থতা, অবকাঠামো ও প্রযুক্তি উন্নয়নে ব্যর্থতা, পরীক্ষা ও মূল্যায়ন ব্যবস্থায় অনিয়ম ও অদক্ষতা, স্বীকৃতির অভাবসহ ইত্যাদি।
বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফিদুল ইসলাম সিফাত জানান, আজকে প্রায় ৭০-৭২ দিন ধরে আমরা আন্দোলন করছি। কিন্তু এর ফলশ্রুতিতে আমরা হুমকি-ধমকি ছাড়া তেমন কিছু পায়নি। বাংলাদেশের দুর্নীতিগ্রস্ত একটা অধিদপ্তরের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, এর অন্তর্ভুক্ত আমরা। আমরা প্রায় তিন মাসের মতো আন্দোলন করছি। সবাই বলছে আমাদের দাবি যৌক্তিক। তবে মানতে পারবে না, সময় লাগবে। এসব জিনিস নিয়ে আমাদের বার বার ঘোরানো হচ্ছে। আমরা আমাদের যত স্মারকলিপি ছিল, যত রকম কাগজপত্র ছিল, আমরা প্রত্যেকটা দরজায় দরজায় গিয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিব,আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারসহ সবার কাছে আমরা আমাদের স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো আন্দোলন মেনে নেওয়া হয়নি। আমরা গত ১০ দিন আগে ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে একটা সংবাদ সম্মেলন করেছি, সেখানে জানানো হয়, এ মাসের ৯ তারিখের মধ্যে দাবি না মানা হলে আমরা আমরণ অনশন করবো। কিন্তু গতকাল ৯ তারিখ পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। এর কারণে আজ আমরা বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছি।
ডিএইবি/এএটি