ক্ষতিপূরণের দাবিতে আর্টসেলকে ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
ঘটনাটি ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে আয়োজক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে। রাবির সাবেক সহ-সমন্বয়ক ও আয়োজক কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আম্মার ওই রাতেই আর্টসেলের পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, “কোনো আলাপ ছাড়াই আর্টসেল প্রোগ্রাম ক্যান্সেলের পোস্ট দিলো। তাদের সাথে আলাপ করে দ্বিতীয় ডেট দেওয়া হয়েছিল। অবশ্যই আর্টসেলকে পুরো আয়োজনের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এতোগুলো দর্শকের আবেগ নিয়ে খেলতে পারে না।”
এর দুদিন পর, শনিবার (১৭ আগস্ট) তিনি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেষ মুহূর্তে কনসার্ট বাতিল করায় আর্টসেল ও তাদের ভোকাল লিংকনের কাছে ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। একই সঙ্গে তিনি ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ওই অর্থ ফেরত দেওয়া ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।
সালাউদ্দিন আম্মার লিখেছেন, “কালচারাল ফ্যাসিস্ট আর্টসেল ও লিংকন আজকের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন। ক্ষতিপূরণসহ টাকা ফেরত পাঠাবেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করে ক্ষমা চাইবেন। তা না হলে মামলা করা হবে এবং তাদের কানাডা সফর বাতিলের দাবি তোলা হবে।”
“তাদের (আর্টসেল) ম্যানেজারের সাথে কথা বললে সে জানায় এটাকে সে মিডিয়ার সামনে চাঁদাবাজি হিসেবে আনবে”-এমনটাই লিখেন আম্মার।
তিনি এসময় অভিযোগ করেন, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেই আর্টসেল শেষ মুহূর্তে কনসার্ট বাতিল করেছে। আম্মার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “তোমাদের টাকা নিয়ে ক্যাম্পাসে কুকুরগুলোকে খাওয়াবো। এটাকে চাঁদাবাজি বলা হলে তাই হোক। কালচারাল ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।”
এ বিষয়ে জানতে আর্টসেলের ভোকাল লিংকন ডি কস্তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি।