‘টেলিভিশন’ নিয়ে স্মৃতিকাতর ফারুকী

‘টেলিভিশন’ নিয়ে স্মৃতিকাতর ফারুকী

দেশের আলোচিত নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ফিরে গেলেন তার বহুল প্রশংসিত ছবি ‘টেলিভিশন’–এর স্মৃতি রোমন্থনে! সম্প্রতি ইডিটোপিয়া নামের একটি পেজ থেকে ছবিটির প্রায় এক মিনিটের একটি সম্পাদিত ক্লিপ প্রকাশ করা হয়, যা নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন ফারুকী।

আর সেই ক্লিপ থেকেই যেন নস্টালজিয়ায় ভেসে যান তিনি। যা শেয়ার করে ফারুকী লিখেছেন, “বুসান সিনেমা সেন্টারে ‘টেলিভিশন’ এর প্রথম প্রদর্শনীতে ৫ হাজার দর্শকের প্রতিক্রিয়ার কথা মনে হলে আমি এখনো শিহরিত হই। প্রদর্শনীর পর পাশে বসা বহু মহান নির্মাতার আলিঙ্গন ও ভালোবাসা- এসব এখনো আমার সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তগুলির একটি। ধন্যবাদ বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবকে (BIFF) ২০১২ সংস্করণের সমাপনী চলচ্চিত্র হিসেবে ‘টেলিভিশন’ বেছে নেওয়ার জন্য!”

তিনি আরও জানান, কোনো একদিন হয়তো আবার ফিরে যেতে চান সিনেমার সেই চরিত্র ও লোকেশনে, একটি সিকুয়েলের জন্য। তবে তার আগে মাথায় ঘুরতে থাকা নতুন চলচ্চিত্রগুলোকেই রূপ দিতে চান তিনি।

ফারুকীর ভাষায়, “জীবন ছোট, কিন্তু প্রতিটি দিনকে অর্থবহ করার চেষ্টা করাই আসল।” একইসঙ্গে তিনি জানালেন, ‘টেলিভিশন’-ই ছিল তার শেষ সিনেমা যা ৩৫ মিমি ফিল্ম ফরম্যাটে শুট করা হয়। ফলে ছবিটি তার কাছে আরও বেশি নস্টালজিক হয়ে আছে!

মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা অভিনীত ‘টেলিভিশন’ বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ২০১৩ সালে। মুক্তির পর দেশে আলোড়ন তোলে ছবিটি, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সমাদৃত হয়।

ছবিটি নির্মাণাধীন অবস্থায় গুটেনবর্গ ফিল্ম ফেস্টিভালে চিত্রনাট্যের জন্য পুরস্কার লাভ করে। মুক্তির আগেই জিতে নেয় ২০১২ সালের এশিয়ান সিনেমা ফান্ড ফর পোস্ট প্রোডাকশন পুরস্কার। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে ৮৬তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডে (অস্কার) বিদেশি ভাষার সিনেমা প্রতিযোগিতায় মনোনীত হয়েছিল চলচ্চিত্রটি।

২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়া-প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডে (অ্যাপসা) ফার্স্ট জুরি গ্র্যান্ড পুরস্কার অর্জন করে ‘টেলিভিশন’। একই বছর ভারতের ১৯তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘এশিয়ান সিলেক্ট’ ক্যাটাগরিতে সেরা সিনেমা হিসেবে পায় নেটপ্যাক পুরস্কার।

চলচ্চিত্রটির কাহিনী যৌথভাবে লিখেছেন আনিসুল হক ও পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।