বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান অভিনেতা আলমগীর। সত্তরের দশক থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি অভিনয় করেছেন অত্যন্ত প্রতাপের সঙ্গে। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য হিট সিনেমা। পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা।
এই অভিনেতা সামাজিকমাধ্যমেও সক্রিয় নন। কিন্তু তার নামে একাধিক ভুয়া ফেসবুক আইডি ও ফ্যান পেজ ঘুরে বেড়াচ্ছে অনলাইনে। এসব নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন তার মেয়ে সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর।
সম্প্রতি ‘নায়ক আলমগীর ফ্যানস ক্লাব’ নামের একটি ফেসবুক পেজ দেখা যাচ্ছে। এর অনুসারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় লাখ। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হওয়ায় এটি নিয়ে সরব হয়েছেন আঁখি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই পেজের সঙ্গে অভিনেতা আলমগীরের কোনো সম্পর্ক নেই।
ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে আঁখি লেখেন, এসব বন্ধ করেন। আপনারা কারা ফ্যান ক্লাব চালান জানি না তবে কার নাম দিয়ে চালাচ্ছেন তা একটু বুঝে পোস্টগুলো করবেন এরপর থেকে। তার বিশালতা যদি অনুধাবন করতে না পারেন, তবে তার নামে ফ্যান পেজ চালাবেন না দয়া করে।
ওই পোস্টে আঁখি আরও বলেন, আমার বাবা ফেসবুক ব্যবহারই করেন না। অথচ তার নামে ভুয়া পেজ ও আইডি চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে নানা রকম পোস্ট। সেসব পোস্টে অনেক ভুল বার্তা যাচ্ছে। এসব আমাদের পরিবারের জন্য অপ্রীতিকর।
নিজের দায়বদ্ধতার বিষয়টি জানিয়ে আঁখি আলমগীর বলেন, যদি ফ্যান ক্লাবের নামে কিছু তৈরি করতেই হয় তবে অন্তত সেই মানুষটিকেই ঘিরে থাকা উচিত। সেখানে দেখি, নানা জনের ছবি আর তথ্য দিয়ে পোস্ট হচ্ছে। কখনও ভুল, কখনও সঠিক। এসব গ্রহণযোগ্য নয়। বাবার মতো মানুষ এসব নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলবেন না, কিন্তু মেয়ে হিসেবে আমি দায়বদ্ধ।
ভুয়া পেজগুলোতে কখনও আঁখিকেও ট্যাগ করা হয়। বিষয়টি নিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, তারা হয়তো ভাবে তারা অন্যায় কিছু করছে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো এটা অন্যায়। আমার মতে, কিছু কিছু কিংবদন্তিকে এসব থেকে মুক্ত রাখা উচিত। আমার বাবা, শাবানা আন্টি, ববিতা আন্টির মতো তারকাদের আর প্রচারের দরকার নেই। তারা বহু আগেই মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
এসব পেজের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন কি না, সে বিষয়ে এই সংগীতশিল্পী বলেন, আমরা এটা করতে চাই না। সেই সময়ও নেই। ধরুন ১০টা বন্ধ করলাম, দেখা যাবে আরও ১০টা খুলে গেছে। তাই সবাইকে সরাসরি সতর্ক করে দিচ্ছি, দয়া করে এসব কাজ বন্ধ করুন।
উল্লেখ্য: দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে ২২৫টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন আলমগীর। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। এছাড়া ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন। ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ‘আজীবন সম্মাননায়’ ভূষিত হন এ অভিনেতা।
এনএটি