‘এতো সুন্দর নির্মাণ, দেখে তো অবাক হয়ে যাচ্ছি’

‘এতো সুন্দর নির্মাণ, দেখে তো অবাক হয়ে যাচ্ছি’

তারআগে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে নিয়ে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় চ্যানেল আই কার্যালয়ে ডকুফিল্মটির একটি সংক্ষিপ্তরূপ দেখেন শাইখ সিরাজ। যেখানে প্রথমবারের মতো নিজের উপর নির্মিত ডকুফিল্মটি দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন স্বয়ং সাবিনা ইয়াসমিন।

এদিন বিকেল পৌনে ৪টায় চ্যানেল আই কার্যালয়ে উপস্থিত হন সংগীতের কিংবদন্তি সাবিনা ইয়াসমিন। সবুজ গালিচায় হেঁটে বাংলা সংগীতের এই কিংবদন্তি তারকা প্রবেশ করেন চ্যানেল আইয়ে। তার আগে গাড়ি থেকে নামার পর ফুল দিয়ে তাঁকে বরণ করেন শাইখ সিরাজ।

সোয়া ৪টায় শুরু হয় প্রদর্শনী। সাবিনা ইয়াসমিন উপস্থিত থেকে দেখেন নিজের জীবনীভিত্তিক এই কাজ। কুড়ি মিনিটের এই সংক্ষিপ্ত ভার্সনটি দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন উপস্থিত সকলে।

পরে সাবিনা ইয়াসমিনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাকে নিয়ে নির্মিত জীবনীভিত্তিক এই ডকুফিল্মটি তার কেমন লাগলো?

চোখভরা আবেগ নিয়ে প্রামাণ্যচিত্রটি দেখার পর অনুভূতি জানাতে গিয়ে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন,“অনুভূতিতো আসলে প্রকাশ করতে পারছি না। কী ভাষায় প্রকাশ করবো, বুঝতে পারছি না। শাইখ সিরাজ ভাই যে এতো সুন্দর করে এটা নির্মাণ করলো, দেখে তো অবাক হয়ে যাচ্ছি। এতোটা দারুণ আর গুছানো হবে আমি ভাবিনি।”

সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা শাইখ সিরাজ বলেন,“সাবিনা ইয়াসমিন শুধু একজন শিল্পী নন, তিনি আমাদের সংস্কৃতির ইতিহাস। তাঁর সংগ্রাম, সাফল্য, শিল্পীসত্তা—সবকিছুই পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছি এই ডকুফিল্মে। এটা কেবল ইতিহাসের দলিল নয়, বরং একটি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ।”

ডকুফিল্মে কী থাকছে? ‘জুঁই ফুল: সাবিনা ইয়াসমিন’-এ উঠে এসেছে ষাটের দশক থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত সাবিনা ইয়াসমিনের দীর্ঘ সংগীতযাত্রা, সংগ্রাম, সাফল্য এবং স্মৃতিময় গল্পগুলো। একান্ত সাক্ষাৎকার, আর্কাইভাল ভিডিও-ছবি, কালজয়ী গানের পরিবেশনা ও সমসাময়িক শিল্পীদের অংশগ্রহণ ডকুফিল্মটিকে করেছে বর্ণাঢ্য ও ব্যতিক্রমী।

ডকুফিল্মে তিন ধাপে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শাইখ সিরাজ। সমান্তরাল সম্পাদনায় সাবিনা ইয়াসমিনের শিল্পীজীবনের গল্প, হাসি, আবেগ আর অজানা অনেক অধ্যায় দারুণভাবে ‍ফুটে উঠেছে। যা দেখে বিস্মিত ও মুগ্ধ হয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন।

এমন গুছানো নির্মাণের প্রশংসা করেন এই কিংবদন্তি। তার কথার সূত্র ধরেই শাইখ সিরাজ বলেন, এই ডকুফিল্ম নির্মাণের আগে সবচেয়ে বেশী সময় দিতে হয়েছে গবেষণায়। আর শুটিং সম্পন্ন হওয়ার পর সময় ব্যয় হয়েছে সম্পাদনায়।

প্রথম গান গেয়ে তিনি কত পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন, প্রথম শোতে আয়োজকরা কী দিয়েছেন, কীভাবে মাত্র ১২ বছর বয়সে আলতাফ মাহমুদের হাত ধরে সিনেমায় গান গাওয়ার সুযোগ পেলেন, কিংবা দিলশাদ ইয়াসমিন থেকে কীভাবে পরবর্তী জীবনে সাবিনা ইয়াসমিন হয়ে উঠলেন বাংলা ভাষাভাষি মানুষের প্রিয়তম কণ্ঠস্বর! ডকুফিল্মটি নিয়ে সাবিনা ইয়াসমিনের মূল্যায়ণ, “এটা বোরিং লাগার কোনো সুযোগ ই রাখা হয়নি!”

শিল্পীর জন্মদিনের পরদিন বিশেষ এই ডকুফিল্মটি প্রচার করবে চ্যানেল আই। ৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ২টা ৪০ মিনিটে চ্যানেল আই-তে ‘জুঁই ফুল’ দেখতে পারবেন দর্শক।