গোবিন্দ-সুনীতার বিচ্ছেদ গুঞ্জন নিয়ে সরব নিহালানি

গোবিন্দ-সুনীতার বিচ্ছেদ গুঞ্জন নিয়ে সরব নিহালানি

তিনি জানান, ওদের সম্পর্কে তিনি কখনো আলাদা হওয়ার কোনো ইঙ্গিত দেখেননি। বরং তাদেরকে তিনি বর্ণনা করেন ‘অটুট সম্পর্ক’ আর ‘বন্ধুর মতো সঙ্গী’ হিসেবে।

সুনীতা আগে একবার বলেছিলেন, আশেপাশের মানুষ তাকে বেড়ে উঠতে দেয় না। সেই প্রসঙ্গে নিহালানি বলেন, “ও যা বলেছেন, ভুল বলেননি। একদম ঠিক বলেছেন। কারণ জ্যোতিষীদের কারণে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে।”

তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি কি কখনো গোবিন্দকে ফোন করে বিষয়টা পরিষ্কার করতে চান, তখন তিনি জানান, “না, জীবনে কাউকে উপদেশ দেওয়া খুবই ভুল। উপদেশ দেওয়ার মানে নিজেকে নিচে নামানো। সত্যি কথা বলা আর সত্যি শোনার মধ্যে বিশাল পার্থক্য আছে।”

গোবিন্দকে তিনি দারুণ অভিনেতা ও মানুষ হিসেবে প্রশংসা করে বলেন, “আমি আজ পর্যন্ত গোবিন্দকে নিয়ে কোনো খারাপ কথা বলিনি, বলবও না। আমি শুধু তার কাজ আর আশেপাশের মানুষজনকে নিয়েই মন্তব্য করি।”

তবে তিনি এটাও স্বীকার করেন, বাইরের মানুষের কথায় মাঝে মাঝে গোবিন্দর চিন্তাভাবনা প্রভাবিত হয়। “অনেক সময় ওর ভাবনা নষ্ট হয়ে যায় অন্যের কথা শুনে…মানুষ যা খাওয়ায়, ও তা-ই বিশ্বাস করে।”

সুনীতা এখন গোবিন্দর কাজ সামলান কি না— জিজ্ঞেস করা হলে নিহালানি বলেন, “ওটা আমি জানি না। আমি শুধু জানি, ওরা কোনোদিন আলাদা হয়নি।”

ডিভোর্স গুঞ্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কেউ বলল, নাকি ডিভোর্সও ফাইল করেছে…আমি বললাম, ওরা তো বন্ধু। পরিবার হিসেবেও, কাজের পার্টনার হিসেবেও—আমি ওদের মাঝে এমন কিছু কখনো দেখিনি।”

স্মৃতিচারণ করে নিহালানি এদিন আরও জানান, তিনি আসলে গোবিন্দ-সুনীতার প্রেমকাহিনি অনেক পরে জানতে পারেন। “আমার তো জানা ছিল না। ওরা বিয়ে করে ফেলেছে, সেটাও জানতাম না। ১৯৮৬-এর পর বিয়ে করেছিল, তবু আমি জানতাম না। কারণ আমরা শুধু শুটিং সেটে মিলতাম, ব্যক্তিগত জীবন শেয়ার করাটা জরুরি ছিল না।”