বক্স অফিস কাঁপিয়ে প্রমাণ দিলেন ফুরিয়ে যাননি ব্রাড পিট

বক্স অফিস কাঁপিয়ে প্রমাণ দিলেন ফুরিয়ে যাননি ব্রাড পিট

হলিউডের বেশ কিছু সিনেমা দারুণ ব্যবসা করছে বক্স অফিসে। বিশেষ করে চলতি বছরটা বলা চলে বেশ রমরমা যাচ্ছে ইংরেজি সিনেমার জন্য। অ্যাকশন, ফ্যান্টাসি, অ্যাডভেঞ্চার, সুপারহিরো ঘরানার ছবিগুলোই বেশি সাফল্য দেখাচ্ছে। সে তালিকায় রয়েছে হলিউড সুপারস্টার ব্রাড পিটের ‘এফ১’ সিনেমাটিও।

ব্র্যাড পিট অভিনীত রেসিং ড্রামা ‘এফ১’ এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৫৪৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এটি অভিনেতাকে তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা উপহার দিয়েছে।

এর আগে এই স্থান দখলে ছিল ২০১৩ সালের ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ার জেড’। সে ছবির আয় ছিল ৫৪০ মিলিয়ন ডলার।

‘এফ১’ ইতোমধ্যেই অ্যাপলের সবথেকে সফল প্রেক্ষাগৃহভিত্তিক ছবি হয়ে উঠেছে। ছবিটি আয়ের দিক থেকে পেছনে ফেলেছে মার্টিন স্করসেজির ‘কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন’। এই ছবিটি ১৫৮ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিল। রিডলি স্কটের ‘নেপোলিয়ন’ আয় করেছিল ২২১ মিলিয়ন ডলার। সে ছবরি চেয়েও এগিয়ে রয়েছে ‘এফ১’।

এদিকে ‘এফ১’ ছবির চেয়ে আয়ে এগিয়ে আছে ‘সুপারম্যান’। ছবিটি বিশ্বব্যাপী ৫৫০ মিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছে। এর মধ্যে ৩১৬ মিলিয়ন ডলার এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে। ২৩৫ মিলিয়ন ডলার আন্তর্জাতিক বাজার থেকে।

এটা ডিসি ফিল্ম ইউনিভার্সের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে সফল ছবি হলেও আন্তর্জাতিক বাজারে ছবিটি প্রত্যাশিতভাবে সফল হয়নি। মূলত, যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা মিলেই আয় হয়েছে ছবিটির প্রায় ৬০%। সেখানে সাধারণত বড় বাজেটের ছবিতে আন্তর্জাতিক বাজারের অবদান বেশি থাকে।

চলতি বছরের বক্স অফিসে নতুনদের সঙ্গে পুরনো সিরিজের জৌলুস আর পরিচিত মুখদের উপস্থিতি মিলিয়ে জমে উঠেছে হলিউডের প্রতিযোগিতা। তার ভিড়ে দারুণ সাফল্য পেলেন ব্রাড পিট।