যেমন হতে পারে লবির আসবাব

যেমন হতে পারে লবির আসবাব

পুরো অন্দর যে ধারায় সাজাচ্ছেন, লবিটাও সেই ধারায় সাজান। চমৎকারভাবে গুছিয়ে ছোট্ট এ জায়গাকেই করে তুলতে পারেন প্রাণবন্ত। এখানেও হতে পারে চা-কফির সঙ্গে আড্ডা।

বাড়ির অন্দরসজ্জায় যে রংকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, লবিতে সেটিই ব্যবহার করতে পারেন। তবে পুরোটায় নয়। হয়তো নীল, ফিরোজা, জলপাই বা কমলা রং আপনার অন্দরের প্রধান রং।

লবিতে ওই রংকে এমনভাবে রাখুন, যাতে তা হয়ে ওঠে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। চেয়ার বা সোফায় ওই নির্দিষ্ট রং থাকতে পারে। দেয়াল এবং অন্যান্য আসবাব হতে পারে আলাদা হালকা রঙের।

যেকোনো ধারার অন্দরেই রাখতে পারেন ফুল। তবে ফুলদানিটা বেছে নিন অন্দরের ধরন বুঝে। আধুনিক ধারায় সিরামিকের অনুষঙ্গ ব্যবহারের চল রয়েছে।

বোহেমিয়ান ধারায় মাটি বা পোড়ামাটির অনুষঙ্গ মানায়। ভিক্টোরীয় ধারায় কাচ বা ক্রিস্টালের অনুষঙ্গ ব্যবহার করা যায়।

বসার জন্য রাখুন আরামদায়ক চেয়ার বা সোফা। ছোট একখানা টেবিলও রাখতে পারেন। লবিতে বসে চা-কফি খেতে কিংবা বই পড়তে চাইলে টেবিলটা কাজে আসবে।

আধুনিক ধারার অন্দরে হালকা নকশার আসবাব রাখার চল আছে। সোফার মতো গদি আছে—এমন চেয়ারও রাখতে পারেন, যাকে বলা হয় সোফা চেয়ার।

ফোম, কাপড়, রেক্সিন কিংবা কৃত্রিম চামড়া থাকতে পারে এসব আসবাবে। কাঠ, কাচ বা মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি হতে পারে টেবিল।

বোহেমিয়ান ধারার অন্দরে বাঁশ কিংবা বেতের আসবাব রাখতে পারেন। আসন ও কুশনে খাদি বা সুতি কাপড় ব্যবহার করা যায়।

ভিক্টোরীয় বা ধ্রুপদি ধারার অন্দরে একটু বড় আকারের ছড়ানো সোফা রাখা হয়। চেয়ার রাখলে সেটি হতে পারে আরামকেদারার মতো ছড়ানো।

দেয়ালে টাঙাতে পারেন চমৎকার কিছু পেইন্টিং। আধুনিক অন্দরে ট্রেন্ডি এখন বিমূর্ত নকশা।

বোহেমিয়ান ধারার লবিতে শীতলপাটি, শতরঞ্জি বা পাটের কার্পেট বিছিয়ে দিতে পারেন। রাখতে পারেন ঝোলানো ল্যাম্পশেড।

ভিক্টোরীয় ধারার অন্দরে রাখতে পারেন কারুকার্যময় আয়না।