ঢাকায় চার দিনব্যাপী তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের প্রদর্শনী শুরু
দেশে ২৪তম বারের মতো তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে, যা আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। এতে ৩৭টি দেশের ১ হাজার ৪৭৫টি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। সেমস-গ্লোবাল ঢাকার পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে চার দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। প্রদর্শনীটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।
আজ বুধবার বিকেলে প্রদর্শনীটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেমস-গ্লোবালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মেহেরুন এন ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সেমস-গ্লোবালের এমডি মেহেরুন এন ইসলাম বলেন, ২৫ বছর ধরে এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে শিল্পের আধুনিকায়ন, অটোমেশন ও জ্বালানি-সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রদর্শনীটির ভূমিকা রয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘প্রদর্শনীতে সবগুলো স্টল ঘুরে দেখতে পেলাম অনেক চীনা ব্যবসায়ী এখানে এসেছেন। আমরা অনেক দিন ধরে চীনের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছি। চীন আমাদের বেশ ভালো বন্ধু। আমাদের দেশের তৈরি পোশাকশিল্পের বেশির ভাগ কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি হয়। তাই এই খাতে পোশাকের সেলাই ছাড়া খুব কম মূল্য সংযোজন হয়। তবে এ ধরনের প্রদর্শনী এই খাতে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।’
একই ভ্যেনুতে আলাদাভাবে তৈরি পোশাকশিল্প ও বস্ত্র খাতের ওপর ‘২৪তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০২৫ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো’, ‘২৪তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক শো ২০২৫-সামার এডিশন’ ও ‘৪৮তম ডাই অ্যান্ড কেম বাংলাদেশ ২০২৫ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো’ শীর্ষক তিনটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিবছর বাংলাদেশ, ব্রাজিল, মরক্কো, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ঢাকায় এবারের প্রদর্শনীতে ৩৭টি দেশের ১ হাজার ৪৭৫টি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। তারা টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলসের যন্ত্রাংশ, সুতা (ইয়ার্ন), কাপড় (ফেব্রিক), ট্রিমস (বোতাম, জিপার ও লেইসের মতো অলংকরণ), অ্যাকসেসরিজ (আনুষঙ্গিক উপকরণ), রং উপকরণ (ডাইস্টাফ) এবং তৈরি পোশাক খাতের নানা ধরনের রাসায়নিক (টেক্সটাইল কেমিক্যালস) পণ্য প্রদর্শন করছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মহাপরিচালক বেবী রানি কর্মকার, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মহাপরিচালক মুজিব উল ফেরদৌস, বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সহসভাপতি মো. শামসুজ্জামান এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহসভাপতি মিজানুর রহমান।