বাগেরহাটে সব আসন পুনর্বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও
বাগেরহাটে চারটি আসন পুনর্বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো জেলার নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা। আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে একাধিক মিছিল নিয়ে তাঁরা সেখানে জড়ো হতে থাকেন। তাঁরা কার্যালয়টির প্রধান ফটক ঘেরাও করেন। এর ফলে সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভেতরে ঢুকতে পারেননি। বেলা পৌনে ১টায় এ কর্মসূচি শেষ হয়।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচির পর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা-কর্মীরা। সেখানে তাঁরা আজকের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন। তাঁরা জানান, বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসবের কারণে আগে ঘোষিত হরতাল কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজপথে আন্দোলন চলবে।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্যসচিব ও বাগেরহাট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস বলেন, ‘দুর্গোৎসব, ব্যবসায়ীদের ক্ষতি ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে আমরা হরতালের কর্মসূচি আপাতত বাতিল করেছি। উচ্চ আদালত ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আমরা ন্যায়বিচার পাব।’
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না—তা জানতে চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ হবে না—তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট সদর, চিতলমারী ও মোল্লাহাট নিয়ে বাগেরহাট-১; ফকিরহাট, রামপাল ও মোংলা নিয়ে বাগেরহাট-২ এবং কচুয়া, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ গঠিত হয়েছে।
১৯৬৯ সাল থেকে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। সে অনুযায়ী বাগেরহাট-১ সংসদীয় আসন ছিল চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট; বাগেরহাট-২ ছিল বাগেরহাট সদর-কচুয়া; বাগেরহাট-৩ ছিল রামপাল-মোংলা এবং বাগেরহাট-৪ ছিল মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা উপজেলা নিয়ে।