মেহেরপুরের কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও অতিথিদের একাংশ। বুধবার দুপুরে পৌর শহরে কমিউনিটি সেন্টারে

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সৎ মানুষ হওয়া

মেহেরপুরে শরতের সকালে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কলরবে মুখর হয়ে ওঠে পৌর শহরে কমিউনিটি সেন্টার। সবার চোখে মুখে সাফল্যের জয়গান।

আজ বুধবার সকালে একত্র হয়েছিল ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া জেলার কৃতী শিক্ষার্থীরা। ‘স্বপ্ন দেখো জীবন গড়ো’ স্লোগানে শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘শিখো’র পৃষ্ঠপোষকতায় প্রথম আলো এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানের আগে আমন্ত্রণপত্র দেখিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্রেস্ট ও স্ন্যাকস সংগ্রহ করে। সময় গড়াতেই দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কোলাহলে কমিউনিটি সেন্টার উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। প্রথমে রাজধানীর উত্তরায় সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর একে একে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

প্রধান অতিথির পৌর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ একরামুল আজিম বলেন, ‘কৃতী শিক্ষার্থী, আপনারা সৎ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবেন। কারণ, সৎ মানুষই উন্নত দেশ গড়তে পারে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করতে এখনই আপনাদের তৈরি হতে হবে। উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনারা নিজেদের সততা দিয়ে সাফল্য অর্জন করবেন।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক কাজী আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সৎ মানুষ হওয়া। আগে আমরা নিজেদের সৎ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলব। প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্যের প্রধান শর্ত হলো সততা।’

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বন্ধুসভার সদস্য এন্ড্রিয়া সরকার। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু সাঈদ। শিক্ষার্থীদের মিথ্যা, মুখস্থ ও মাদককে ‘না’ বলার অঙ্গীকার করান ঝিনাইদহে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আজাদ রহমান।

কৃতী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্যে হাসান মাহমুদ বলেন, ‘প্রথম আলোর কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে নিজেদের ধারণা আরও মজবুত হলো। সৎ মানুষ হতে হলে আমাদের কী করতে হবে, তার ধারণাও পাওয়া গেল। ভবিষ্যতে উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষণীয় বিষয়গুলো আমাদের কাজে আসবে।’

বন্ধুসভার উপদেষ্টা সাব্বির হোসেন সোহাগের নেতৃত্বে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করা হয়। পরে প্রথম আলোর কুইজ প্রতিযোগিতায় জয়ী ১০ কৃতী শিক্ষার্থীর মধ্যে বই উপহার দেওয়া হয়। সমাপনী বক্তব্য দেন বন্ধুসভার সভাপতি সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল আমিন।

আয়োজনটি পাওয়ার্ড বাই কনকা-গ্রি এবং সহযোগিতায় আছে কনকর্ড গ্রুপ, ফ্রেশ, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, কোয়ালিটি গ্রুপ, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস, আকিজ টেলিকম লিমিটেড, আম্বার আইটি লিমিটেড, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।