চট্টগ্রাম চেম্বারকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ও ব্যবসায়ীবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলতে চান সী-কম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও বহু সংগঠনে দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে আসা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আমিরুল হক। একই সঙ্গে চট্টগ্রামে বে-টার্মিনাল বাস্তবায়ন, চট্টগ্রাম বন্দর-কাস্টমসে হয়রানি ও জটিলতা নিরসন, চট্টগ্রামে মহাসড়কে বসানো ওজন নিয়ন্ত্রণ স্কেল প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করা, ব্যবসাসংক্রান্ত জাতীয় নীতি প্রণয়নে চেম্বারকে থিংকট্যাংক হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার ইচ্ছাও রয়েছে তার। এছাড়া রপ্তানি সক্ষমতা বাড়ানো ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা, বাণিজ্যিক রাজধানী হিসাবে চট্টগ্রামের ন্যায্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখতে চান এই ব্যবসায়ী নেতা। মঙ্গলবার যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি চট্টগ্রাম চেম্বার নিয়ে তার স্বপ্ন ও ভাবনাগুলো এভাবেই তুলে ধরেন। ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচন। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আমিরুল হক ‘ওয়ান টিম’র টিম লিডার হিসাবে ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী এই ব্যবসায়ী সংগঠনটি গত প্রায় দুই দশক ধরে কুক্ষিগত ছিল একটি সিন্ডিকেটের কাছে। নির্বাচন না হওয়ায় পছন্দের নেতৃত্ব বেছে নিতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। এ কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও তা প্রকাশ করতে পারেননি কেউ। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকারের পটপরিবর্তন হয়। এরপর আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হয় আওয়ামী লীগদলীয় সাবেক এমপি এমএ লতিফের ছেলে ওমর হাজ্জাজের নেতৃত্বাধীন ২৪ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড। এরপর এই চেম্বারে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। কিছু অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনি তফশিল ঘোষণা করেছে গঠিত নির্বাচনি কমিশন। তফশিল অনুযায়ী ৫ অক্টোবর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার কথা রয়েছে। আমিরুল হকের দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের চুম্বকীয় অংশ নিচে তুলে ধরা হলো-
যুগান্তর : দীর্ঘদিন পর চট্টগ্রাম চেম্বার নির্বাচনে সরাসরি অংশ নিচ্ছেন। ব্যবসায়ী কিংবা ভোটাররা কেন আপনাকে বেছে নেবেন?
আমিরুল হক : আমি মনে করি ব্যবসায়ীরা এবার একটি ভিন্নধর্মী নেতৃত্ব খুঁজছেন। দীর্ঘদিন পর তারা ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এই সুযোগে তারা চাইবেন এমন নেতৃত্ব, যারা সত্যিকার অর্থে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের কথা বলবে, তাদের সমস্যাকে অগ্রাধিকার দেবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত নই। আমার লক্ষ্য ব্যবসায়ীদের সমষ্টিগত স্বার্থ রক্ষা করা। তাছাড়া আমাদের ওয়ান টিম গ্রুপের কনসেপ্টই হলো-একটি টিম হিসাবে একসঙ্গে কাজ করা। আমরা ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির বাইরে থেকে চেম্বারকে একটি ইনস্টিটিউশনাল বা প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আমি যে সাড়া পাচ্ছি, তারা আমাকে যে আস্থা ও ভালোবাসা দিচ্ছেন, তাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি তারাই। আমি বিশ্বাস করি, এবার তারা পরিবর্তনের জন্য ওয়ান টিমকেই বেছে নেবেন।
যুগান্তর : বন্দরকেন্দ্রিক জটিলতা, কাস্টমস হয়রানি ও সড়ক পরিবহণ সীমাবদ্ধতা নিয়ে ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ আছে। ওয়ান টিম এ সমস্যাগুলো সমাধানে কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে?
আমিরুল হক : প্রথমত, কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় করে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে, যাতে ব্যবসায়ীরা সরাসরি তাদের সমস্যার কথা বলতে পারেন। দ্বিতীয়ত, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এখনো অনেক কাজ ম্যানুয়ালি হয়, যা অনিয়ম ও হয়রানির সুযোগ সৃষ্টি করে। ডিজিটাল প্রসেসিং সিস্টেম চালু হলে ব্যবসায়ীরা দ্রুত সেবা পাবেন এবং দুর্নীতির সুযোগ কমে যাবে। তৃতীয়ত, আমরা সরকারের কাছে শক্ত অবস্থান থেকে ‘ইজি অব ডুয়িং বিজনেস’ সূচকে উন্নতি আনতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সেবা আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করতেই হবে। এ বিষয়ে চেম্বারকে লবিস্টের ভূমিকা নিতে হবে।
যুগান্তর : বে-টার্মিনাল চট্টগ্রামের জন্য গেমচেঞ্জার হতে পারে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে চেম্বারের কী ধরনের ভূমিকা রাখা উচিত।
আমিরুল হক : চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে এই প্রকল্পের বিকল্প নেই। এটিকে চট্টগ্রামের ভবিষ্যৎ বললেও অত্যুক্তি হবে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বছরের পর বছর পার হয়ে গেলেও এখনো প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখছে না। আমাদের ওয়ান টিম গ্রুপ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, চেম্বারের মাধ্যমে আমরা সরকারের ওপর ইতিবাচক চাপ সৃষ্টি করব, যাতে এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়। বে-টার্মিনাল হলে গভীর সমুদ্রবন্দরের অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। বড় জাহাজ সরাসরি ভিড়তে পারবে, আন্তর্জাতিক ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এই প্রকল্প শুধু চট্টগ্রাম নয়; পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। তাই বে-টার্মিনালকে আমরা আমাদের নির্বাচনি অঙ্গীকারের কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছি।
যুগান্তর : ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো প্রায়ই রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে না। আপনি কীভাবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও পেশাদার চেম্বার গড়ে তুলবেন?
আমিরুল হক : চেম্বার কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়, এটি ব্যবসায়ীদের প্ল্যাটফর্ম। তাই এখানে রাজনীতির কোনো স্থান নেই। আমরা ওয়ান টিম গ্রুপ পরিষ্কারভাবে ঘোষণা দিয়েছি চেম্বারের সিদ্ধান্ত হবে শুধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থে। এটি বাস্তবে করতে হলে দুটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। একটি হচ্ছে চেম্বারের নির্বাচনি প্রক্রিয়া সবার জন্য উন্মুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, কমিটি গঠন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক বিবেচনা বা দলীয় ট্যাগ না দেখে শুধু যোগ্যতা, সততা ও অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন করতে হবে। ব্যবসায়ীরা আমাদের পাশে থাকলে আমরা একটি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, ব্যবসায়ী-অভিমুখী চেম্বার গড়ে তুলতে সক্ষম হব।
যুগান্তর : ঢাকাকেন্দ্রিক অর্থনীতি থেকে চট্টগ্রামকে বারবার বঞ্চিত করার অভিযোগ রয়েছে। জাতীয় অর্থনীতিতে ‘কমার্শিয়াল ক্যাপিটাল’ হিসাবে চট্টগ্রামের ন্যায্য প্রাপ্য নিশ্চিত করতে আপনার পরিকল্পনা কী?
আমিরুল হক : চট্টগ্রাম হলো বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী। দেশের আমদানি-রপ্তানির প্রায় ৯০ শতাংশ হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। অথচ অবকাঠামো উন্নয়ন, নীতি প্রণয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সব সময় বঞ্চিত। এর জন্য একটি উদাহরণই যথেষ্ট। সেটি হচ্ছে শুধু চট্টগ্রামেই মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ স্কেল বসানো হয়েছে, একটি গাড়ি কত টন পণ্য পরিবহণ করতে পারবে তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এটি সরাসরি বৈষম্যমূলক আচরণ। আমাদের পরিকল্পনা হলো চেম্বারের মাধ্যমে সরকারকে তথ্য-উপাত্ত ও যুক্তি দিয়ে বোঝানো যে, চট্টগ্রামকে অবহেলা করা মানে পুরো জাতীয় অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। আমরা চাই সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন, সমান সুযোগ এবং ন্যায্য প্রাপ্য।
যুগান্তর : চেম্বার শুধু ব্যবসায়ী স্বার্থই নয়, শিল্পোন্নয়ন নীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে। জাতীয় নীতি প্রণয়নে চেম্বারের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত?
আমিরুল হক : আমরা চাই চেম্বার একটি থিংক-ট্যাংক হিসাবে কাজ করুক। বাজেট প্রস্তাব, রাজস্ব নীতি, শিল্পনীতি, ট্রেড পলিসি-এসব ক্ষেত্রে চেম্বারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে তথ্য-উপাত্তভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা। সে অনুযায়ী সরকারকে সহযোগিতা করা। এভাবে চেম্বার শুধু ব্যবসায়ীদের সংগঠন নয়, বরং জাতীয় অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নের সহায়ক শক্তি হিসাবে দাঁড়াবে।
যুগান্তর : আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশের রপ্তানি সক্ষমতা বাড়াতে চট্টগ্রাম চেম্বার কীভাবে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে?
আমিরুল হক : চট্টগ্রামের ভৌগোলিক অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এখানে সমুদ্রবন্দর, পাহাড়, সমভূমি সবই আছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশাল সুযোগ সৃষ্টি করছে। আমাদের রোডম্যাপ হলো : ১. বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ কার্যকর করা ২. আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সম্মেলন আয়োজন করে চট্টগ্রামকে গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট ম্যাপে তুলে ধরা। ৩. বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ ও স্বচ্ছ নিয়মকানুন নিশ্চিত করা। এভাবে আমরা চট্টগ্রামকে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করতে চাই।
যুগান্তর : আঞ্চলিক অর্থনীতিতে চট্টগ্রামকে ‘হাব’ হিসাবে গড়ে তুলতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, মিয়ানমার এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারের সঙ্গে কীভাবে সংযোগ জোরদার করবেন?
আমিরুল হক : চট্টগ্রামের ভৌগোলিক অবস্থান দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংযোগস্থলে। এখানে যদি অবকাঠামো উন্নয়ন, লজিস্টিক সুবিধা ও প্রযুক্তির ব্যবহার সঠিকভাবে হয়, তবে চট্টগ্রাম বিমসটেক (BIMSTEC) এবং বিসিআইএম (BCIM) করিডরের মাধ্যমে আঞ্চলিক ট্রেড হাবে পরিণত হতে পারে। বন্দর আধুনিকায়ন করা, রেল ও সড়ক যোগাযোগ উন্নত করা এবং ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ নিয়মনীতি তৈরি করতে হবে। চেম্বারের নেতৃত্বে আমরা এ বিষয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতাও জোরদার করব।
যুগান্তর : বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন এবং সবুজ জ্বালানির প্রভাব বাণিজ্যে বাড়ছে। এ বিষয়ে চেম্বারের অবস্থান ও করণীয় কী হবে?
আমিরুল হক : বাংলাদেশ একটি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। উপকূলীয় শহর হিসাবে চট্টগ্রাম সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। তাই ব্যবসায়ী সমাজকে এখনই প্রস্তুত হতে হবে। আমরা চাই চেম্বারের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ এবং প্রণোদনার ব্যবস্থা করা। যাতে ব্যবসায়ীরা ধীরে ধীরে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। সবুজ জ্বালানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-এসব বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহায়তা আনার চেষ্টা করব। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সমাজ যদি সময়মতো প্রস্তুত হতে পারে, তবে তারা শুধু নিজেদের রক্ষা করবেন না, বরং টেকসই ব্যবসায়িক সুযোগও তৈরি করবেন।
যুগান্তর : আপনি ব্যক্তিগতভাবে বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। চেম্বারের নেতৃত্বে এলে ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক স্বার্থ ও বৃহত্তর ব্যবসায়ী সমাজের স্বার্থের মধ্যে ভারসাম্য কীভাবে রক্ষা করবেন?
আমিরুল হক : আমার কাছে চেম্বারের নেতৃত্ব মানে ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক সুবিধা নয়; বরং সমষ্টিগত স্বার্থ রক্ষা করা। আমি যদি নেতৃত্বে আসি, তবে সব সিদ্ধান্ত নেব ব্যবসায়ী সমাজের সঙ্গে কথা বলে, তাদের বৃহত্তর স্বার্থ সামনে রেখে। যদি কখনো কোনো সিদ্ধান্ত আমার ব্যক্তিগত ব্যবসার বিপরীতে যায়, তবুও আমি তা মেনে নেব। কারণ নেতৃত্ব মানে ত্যাগ, নেতৃত্ব মানে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। ব্যবসায়ীরা আমাকে যেভাবে বিশ্বাস করছেন, আমি সেই বিশ্বাস অটুট রাখব এবং দেখাব যে ব্যক্তিগত স্বার্থ নয়; ব্যবসায়ী সমাজের সম্মিলিত স্বার্থই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।