সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি : সংগৃহীত

তারেক রহমান ‘অতি শিগগিরই’ ফিরবেন : সালাহউদ্দিন আহমদ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যন তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন ‘অতি শিগগিরই’ বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার (০৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।

একটি গোষ্ঠী নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে রমজান শুরু হওয়ার সপ্তাহখানেক আগে অথবা তারও আগে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে। এর পথে যারাই কাঁটা বিছানোর চেষ্টা করবেন, যারাই বিভিন্ন রকম বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন- তাদের সকলের উদ্দেশে নসিহত হচ্ছে, আমরা এখন নির্বাচনী আবহাওয়ার মধ্যে আছি। সারা দেশে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। অতি শিগগিরই আমাদের নেতা তারেক রহমান বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবেন। সেদিন (প্রত্যাবর্তনের দিন) বাংলাদেশের নির্বাচনের সমস্ত কিছু প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

তিনি বলেন, আমি বলছি নির্বাচন হয়ে যাবে। তবে আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে সেদিনই নির্বাচনের অর্ধেক কার্য সমাপ্ত করতে পারব। সেটা কী? সারা বাংলাদেশে আমাদের নির্বাচনী প্রচারণা হয়ে যাবে। নির্বাচনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে প্রচারণা। সেই প্রচারণা সেদিন অর্ধেক হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। তার প্রত্যাবর্তন হবে বাংলাদেশে একটি অবিস্মরণীয় ঐতিহাসিক ঘটনা।

এই সময়ে মিলনায়তনে নেতা-কর্মীরা মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের খবরকে স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দেয়, ‘তারেক রহমান বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে’। তবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার সুনিদির্ষ্টভাবে কোনো দিনক্ষণ বলেননি সালাহউদ্দিন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক রহমান তার মেধা, যোগ্যতা, শ্রম এবং নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। আমরা আমাদের নেতার সাথে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে গিয়ে যে পরিপক্কতা উনার মধ্যে দেখেছি, এই জাতি ইনশাল্লাহ তার নেতৃত্বে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। সেই দিনের প্রত্যাশায় আমরা আছি।

মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র হত্যার ইতিহাস শুধু আওয়ামী লীগের বলে মন্তব্য করে সালাহউদ্দিন বলেন, আজকে দেখা গেল এক জায়গায় বলছে জয়, দৌড়াতে দৌড়াতে দেড়মাইল দূরে গিয়ে বলছে বাংলা- এই হলো আওয়ামী লীগের অবস্থা। সুতরাং এই অবস্থা থেকে যাতে তারা মুক্তি না পায়, সেই রকম রাজনীতি বাংলাদেশে আমাদেরকে স্থাপন করতে হবে। সুস্থ ধারার সুন্দর গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা আমাদেরকে করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচন সংস্কার কমিশনের কাজ করেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের উদ্দেশে বলছি, সরকারের উদ্দেশে বলছি- এমন কোনো বিধি-বিধান অধ্যাদেশের মাধ্যমে আপনারা জারি করবেন না, পরবর্তীতে যেটা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য।

সংগঠনের সভাপতি রমিজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারী হেলালসহ কর আইনজীবীরা বক্তব্য রাখেন।