ডাকসু নির্বাচন: ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও শিবিরের প্রার্থিতা বাতিল চায় ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ
আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জুলিয়াস সিজার ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়নের (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ) একাংশ।
এ ছাড়া স্বৈরাচারের দোসরদের ডাকসু নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন থেকে বাদ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ মঙ্গলবার ছাত্র ইউনিয়নের (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ) একাংশের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম রানা জয় ও সালাউদ্দিন আম্মার নিলয় এক যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুদ্ধাপরাধী, গণহত্যার দোসর, সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত ও নিপীড়কদের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন থেকে যখন গঠনতন্ত্র সংশোধনী চাওয়া হয়েছিল, তখন থেকেই আমরা বলে এসেছি ডাকসু ও হল সংসদ ২০২৫ নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধী, গণহত্যার দোসর, সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত ও নিপীড়কদের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না। কিন্তু দেখা গেছে, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুলিয়াস সিজার প্রথম দিনেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বিতর্কের মুখে প্রার্থিতা বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হলেও পরবর্তী সময়ে তা পুনর্বহাল করেছেন। আমরা অবিলম্বে জুলিয়াস সিজারের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানাই।’
ছাত্রশিবিরের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ডাকসু গঠনতন্ত্রে উল্লেখ আছে এই সংসদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হবে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী, যুদ্ধাপরাধী, গণহত্যার দোসর ইসলামী ছাত্র সংঘের সরাসরি উত্তরাধিকার ইসলামী ছাত্রশিবির ডাকসুতে নির্বাচন করার সুযোগ পাওয়ার কথা না। তারপরও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতি বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একধরনের পক্ষপাত লক্ষ করা গেছে। পরিবেশ পরিষদের সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার ইসলামী ছাত্রশিবিরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ করে দিয়েছে। যুদ্ধাপরাধী, গণহত্যার দোসর, সন্ত্রাসী সংগঠনের ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার নৈতিক অধিকার নেই। আমরা ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানাই।’