দেশ-জাতির ক্রান্তিকালে শ্রমিক সমাজ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে

দেশ-জাতির ক্রান্তিকালে শ্রমিক সমাজ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে

দেশ-জাতির ক্রান্তিকালে শ্রমিক সমাজ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন দেশ ও জাতির ভাগ্য নির্ধারণী নির্বাচন; তাই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ন্যায়-ইনসাফের নতুন বাংলাদেশ গড়তে আসন্ন নির্বাচনে কৃষক, শ্রমিক-জনতাসহ সব শ্রেণি ও পেশার মানুষকে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ করে নতুন সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কাফরুল জোন আয়োজিত ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনের শ্রমিক দায়িত্বশীলদের নিয়ে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

জোন পরিচালক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মুসা, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মওলানা মহিববুল্লাহ।

সেলিম উদ্দিন বলেন, আমাদের দেশে শ্রমিক সমাজ অবহেলিত ও অধিকার বঞ্চিত হলেও তারা বিশেষ সম্মানের অধিকারী। হাদিসে রাসূল (সা.)-এ শ্রমিকদেরকে আল্লাহর বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসলামে শ্রমিকদের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তাদের মজুরি পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশ ও জাতির ক্রান্তিকালে শ্রমিক সমাজ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু তারা আজও অবহেলিত, নির্যাতিত ও অধিকার বঞ্চিত। মূলত, দেশে ইসলামী শ্রমনীতি চালু না থাকার কারণেই স্বাধীনতার ৫ দশক পরেও তাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

তাই দেশের শ্রমিক সমাজসহ সব শ্রেণির মানুষের অধিকার রক্ষায় দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার মাধ্যমে ইসলামী শ্রমনীতি চালু করতে হবে। তিনি সে স্বপ্নের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রমিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রীয় যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে পুরোপুরি অনুসরণ করতে হবে। এর অন্যথা হলে বিপ্লবীরা ঘরে বসে তামাশা দেখবে না। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে প্রয়োজন হলে ছাত্র-জনতা আবারো রাজপথে নামবে। সবার আগে জুলাই সনদকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে।

সেলিম উদ্দিন বলেন, সংস্কার ও দৃশ্যমান বিচার ছাড়া দায়সারা গোছের নির্বাচন জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।

তিনি নির্বাচনে পিআর পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রচলিত পদ্ধতির নির্বাচনের জনমতের পুরোপুরি প্রতিফলন হয় না। তাই আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিই হতে হবে। তিনি পিআর পদ্ধতি নির্বাচন করার জন্য আরপিও সংশোধন ও গেজেট নোটিফিকেশন জারি করতে নির্বাচন কমিশনকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

জেইউ/জেডএস