ছবি : সংগৃহীত

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবি, কর্মসূচি ঘোষণা জামায়াতের

পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকে নিষিদ্ধকরণসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এসব দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।

ডা. তাহের বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের সফল গণঅভ্যুত্থানের পর স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যায়। প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে পড়ায় সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হয়। তখন জনগণের অভিপ্রায় ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈধতার উৎস ও ভিত্তি হচ্ছে সংবিধানের অনুচ্ছেদ-৭ এ বর্ণিত বিধানাবলী ও জনগণের অভিপ্রায়।

ডা. তাহের অভিযোগ করেন, সংবিধানের ত্রুটি, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অব্যবস্থাপনা ও দলীয়করণের সুযোগে কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম হয়েছিল। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও স্বৈরাচারীদের ফিরে আসার পথ রুদ্ধ করতে কাজ শুরু করে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।

আরো পড়ুন : নতুন মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

তিনি বলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে মত দিলেও এখনো এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই জনদাবি আদায়ে আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই।

জামায়াতের ৫ দফা দাবি:

১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন।

২. জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু।

৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।

৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম, নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।

৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

এই পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল, ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সকল বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সকল জেলা/উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেন ডা. তাহের।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, আব্দুর রব, মোবারক হোসেন, মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আ. রহমান মূসা, দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ইয়াসিন আরাফাত, প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি আতাউর রহমান সরকার প্রমুখ।