ডাকসু নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে প্রশ্ন রাশেদ খানের
আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়েছে কি না- এমন প্রশ্ন তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
তার মতে- যারা হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করে, জেল-জুলুম, রিমান্ডের নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তাদের মূল্যায়ন হওয়া উচিত।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসকল শিক্ষার্থীরা গত ১৬ বছর হাসিনা ও ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী লড়াই করেছে, সেই সকল ছাত্রনেতারা হলে থাকতে পারেনি। কিন্তু কোন কোন ছাত্র সংগঠনের নেতারা রাজনৈতিক পরিচয় অপ্রকাশ্য রেখে হলে বিভিন্ন সামাজিক-মানবিক সংগঠনে বা সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয়ে হলে থেকেছে। এক্ষেত্রে হলে থাকার সুবাধে বা রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞের বাইরে সেবামূলক কাজে জড়িত থাকায় তারা হল সংসদ নির্বাচনে ও কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনে এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা বেশি। কারণ তাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সুযোগ হয়েছে।
ভোটের রাজনীতিতে কাছাকাছি থাকা, কাছে যেতে পারা ইত্যাদি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এক্ষেত্রে যে ছেলেটা প্রকাশ্যে রাজনীতি করার কারণে, জেল-জুলুম নির্যাতন ও রাজপথে হাসিনা বিরোধী স্লোগান দিয়ে আবাসিক হলে থাকতে পারেনি, সে তো পিছিয়ে আছে। তার বিরুদ্ধে তো রাজনৈতিক তকমা দেওয়া হচ্ছে যে, অমকতমক দলের লেজুড়বৃত্তি করে। কিন্তু কে লেজুড়বৃত্তির বাইরে? কেউ প্রকাশ্যে, কেউ অপ্রকাশ্য বা কৌশলে লেজুড়বৃত্তি করছে।’
ডাকসু নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়েছে কি না- এমন প্রশ্ন তুলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমার প্রশ্ন হলো আসলেই কি ডাকসুতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়েছে? এগুলো অত্যন্ত সুক্ষ্ম বিষয়, অনেকে এগুলো বুঝবেনা। কিন্তু এগুলো আলোচনা হওয়া দরকার। আমি মনে করি ত্যাগের মূল্যায়ন হওয়া দরকার। যারা হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করে, জেলজুলুম, রিমান্ডের নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তাদের মূল্যায়ন হওয়া উচিত। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মনস্তত্ত্ব এমনভাবে ডাইভার্ট করা হচ্ছে যে, সামাজিক ও মানবিক কাজের মাধ্যমে যে শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পৃক্ত থেকেছে, তাকে ডাকসু নেতা বানানো উচিত, আর যে জেল-জুলুম খেটে হাসিনার পতনে ভূমিকা রেখেছে, তার ত্যাগের কোন মূল্য নাই।
রাশেদ খান আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের মনে রাখা উচিত, সংগ্রামী, ত্যাগী, নির্যাতিত নিপীড়ত ও ফাঁসির কনডেম সেলে বন্দী থেকে যারা তোমাদের নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে, তাদের মূল্যায়ন করো। অন্যথায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর কখনোই স্বৈরাচার পতনের ক্ষেত্র হিসেবে ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারবেনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঐতিহাসিক কোন ভুল করেনি, এবারও আশা করি করবেনা। যদি কোন ভুল হয়ে যায়, ঢাবির গৌরব ঢাবিই হত্যা করবে, ডাকসুরও কোন গুরুত্ব থাকবেনা।