রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতেফাইল ছবি : প্রথম আলো

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কোথায় কমবে, রাষ্ট্রপতির কোথায় বাড়বে

মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে যেভাবে ঐকমত্য, ভিন্নমতসহ সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাতে প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা আসলে কতটা কমবে, সংস্কারের উদ্দেশ্য কতটা সফল হবে, তা নিয়ে নানা আলোচনা আছে। যেসব গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে বিএনপির ভিন্নমত আছে, তারা ক্ষমতায় গেলে এগুলো বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা থাকবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তাতে ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খুব সামান্যই কমবে।

রাষ্ট্রক্ষমতায় ভারসাম্য আনার প্রস্তাবগুলো ছিল মূলত সংবিধান সংস্কার কমিশনের। বিদ্যমান সংবিধান পর্যালোচনা করে সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদনে বলেছিল, কার্যকর ভারসাম্যের অনুপস্থিতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার জন্য একটি গুরুতর হুমকি। ক্ষমতার ব্যাপক কেন্দ্রীকরণ প্রধানমন্ত্রীকে স্বৈরশাসকে পরিণত করেছে। সাংবিধানিক সংস্কারের অন্যতম উদ্দেশ্য, ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার উত্থান রোধ এবং রাষ্ট্রক্ষমতা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকেন্দ্রীকরণ, পর্যাপ্ত ক্ষমতায়ন।

এসব উদ্দেশ্য পূরণে প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা কমানো এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনার কথা বলেছিল কমিশন। এ জন্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ পদ্ধতি বদলানো, কিছু নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিকে স্বাধীন ক্ষমতা দেওয়া, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, একই ব্যক্তি যাতে দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে না পারেন এবং একই সঙ্গে একাধিক পদে থাকতে না পারেন, সে ধরনের বিধান করার প্রস্তাব করা হয়েছিল।

তবে এসব প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তে বিএনপিসহ কয়েকটি দল ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) দিয়েছে। তাদের ভিন্নমতের কথা জুলাই জাতীয় সনদের খসড়ায়ও উল্লেখ আছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভিন্নমতসহ সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে এখনো কৌশল ঠিক হয়নি।

বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী, সব নির্বাহী কর্তৃত্ব প্রধানমন্ত্রীর হাতে ন্যস্ত। প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া রাষ্ট্রপতিকে অন্য যেকোনো কাজ করতে হয় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী। এ অবস্থার পরিবর্তনে সংবিধান সংস্কার কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ছিল জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন। নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগের সমন্বয়ে এই কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব ছিল। এনসিসি নির্বাচন কমিশন (ইসি), পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি), অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সাংবিধানিক পদগুলোতে এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের নিয়োগ দেবে, এটা ছিল প্রস্তাবে।

পরে ইসি, পিএসসি, ন্যায়পাল, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) এবং দুদক গঠনের জন্য আলাদা আলাদা বিধান সংবিধানে যুক্ত করার প্রস্তাব আনে ঐকমত্য কমিশন। তাতে সরকারি দল, বিরোধী দল ও ক্ষেত্রবিশেষে বিচার বিভাগের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত বাছাই কমিটির মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়।

এটি কার্যকর হলে গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা একেবারে সীমিত হয়ে আসত। কিন্তু বিএনপিসহ কিছু দল এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করায় শেষ পর্যন্ত এনসিসি গঠনের প্রস্তাব বাদ দিয়ে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি গঠনের প্রস্তাব হাজির করে ঐকমত্য কমিশন। তাতেও বিএনপিসহ কিছু দলের জোরালো আপত্তি ছিল। বিএনপির বক্তব্য হলো, এ রকম কমিটি করা হলে নির্বাহী বিভাগ দুর্বল হয়ে যাবে। সরকারের কর্তৃত্ব থাকবে না। তারা এসব ক্ষেত্রে আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়ার পক্ষে।

পরে ইসি, পিএসসি, ন্যায়পাল, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) এবং দুদক গঠনের জন্য আলাদা আলাদা বিধান সংবিধানে যুক্ত করার প্রস্তাব আনে ঐকমত্য কমিশন। তাতে সরকারি দল, বিরোধী দল ও ক্ষেত্রবিশেষে বিচার বিভাগের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত বাছাই কমিটির মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়।

এর মধ্যে ইসি গঠনের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। বাকি চারটি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের বিধান যুক্ত করার সিদ্ধান্তে বিএনপি, এনডিএম, ১২-দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের ভিন্নমত আছে। অর্থাৎ বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হওয়ার নিশ্চয়তা নেই।

দেশে সংসদীয় ব্যবস্থায় এত দিন একই ব্যক্তি ছিলেন একাধারে প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও ক্ষমতাসীন দলের প্রধান। অর্থাৎ সরকার, সংসদ ও দলে একজনের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় কোনো রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং সংসদ নেতা হতে পারবেন না।

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় কোনো রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং সংসদ নেতা হতে পারবেন না।

দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়, একই ব্যক্তি একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের পদে থাকতে পারবেন না। শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তেও বিএনপিসহ কয়েকটি দল ভিন্নমত দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, যেভাবে সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য হয়েছে, তাতে কিছু ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কিছুটা কমবে। যেমন নির্বাচন কমিশন গঠন। সরকারি দল, বিরোধী দল ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত একটি বাছাই কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার বাছাই করবেন। কমিটি যাঁদের বাছাই করবে, তাঁদের নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।

এ ছাড়া মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন, প্রেস কাউন্সিল ও আইন কমিশনে সরাসরি নিয়োগ দিতে পারবেন রাষ্ট্রপতি। এখানে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কিছুটা কমবে। আর এক ব্যক্তি জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন, এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, যেভাবে সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য হয়েছে, তাতে কিছু ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কিছুটা কমবে। যেমন নির্বাচন কমিশন গঠন। সরকারি দল, বিরোধী দল ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত একটি বাছাই কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার বাছাই করবেন। কমিটি যাঁদের বাছাই করবে, তাঁদের নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।

জরুরি অবস্থা জারির ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় কিছু পরিবর্তন আসবে। জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষরের’ পরিবর্তে ‘মন্ত্রিসভার অনুমোদনের’ বিধান যুক্ত করা হবে। জরুরি অবস্থা ঘোষণা–সম্পর্কিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিরোধীদলীয় নেতা অথবা তাঁর অনুপস্থিতিতে বিরোধীদলীয় উপনেতার উপস্থিতি অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদনে বলেছিল, গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে নির্বাহী বিভাগের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর এবং একে অপরের পরিপূরক হিসেবে গড়ে তোলা আবশ্যক। এই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক এবং কার্যকরী ক্ষমতায়ন অত্যন্ত জরুরি।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিভিন্ন নিয়োগে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। তাতে ১২টি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব ছিল। এগুলো হলো: সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধান; প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) মহাপরিচালক; অ্যাটর্নি জেনারেল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ও সদস্য, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ও সদস্য।

জরুরি অবস্থা জারির ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় কিছু পরিবর্তন আসবে। জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষরের’ পরিবর্তে ‘মন্ত্রিসভার অনুমোদনের’ বিধান যুক্ত করা হবে।

শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়, মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন, প্রেস কাউন্সিল, আইন কমিশন, গভর্নর এবং এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে কারও পরামর্শ বা সুপারিশ ছাড়াই নিজ এখতিয়ারে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিতে পারবেন। তবে এই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার বিষয়ে বিএনপিসহ ৬টি দল ও জোট আপত্তি জানিয়েছে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না প্রথম আলোকে বলেন, যতখানি ঐকমত্য হয়েছে, তাতে প্রধানমন্ত্রীর কিছু ক্ষমতা কমবে। হয়তো আরও কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হওয়া উচিত ছিল। সামনে আরও আলোচনা আছে, সেখান থেকে কী আসে, তা দেখার বিষয়। তবে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন, ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংসদীয় কমিটির সভাপতি বিরোধী দল থেকে দেওয়াসহ কিছু বিষয়ে যে ঐকমত্য হয়েছে, তা গুরুত্বপূর্ণ।

সংবিধানের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খানিকটা হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণ করে দেওয়া গেছে। চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ সংসদীয় কমিটিসহ কিছু কমিটির সভাপতি হবেন বিরোধী দল থেকে। এ ছাড়া ইসি গঠনে প্রধানমন্ত্রীর অবারিত ক্ষমতা থাকছে না। সব না হলেও অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ

ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে আইনসভা বা সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করা এবং উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখানেও বিএনপির ভিন্নমত আছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একটি দল নির্বাচনে সারা দেশে যত ভোট পাবে, তার অনুপাতে তারা উচ্চকক্ষে আসন পাবে। এতে উচ্চকক্ষে সরকারি দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার সম্ভাবনা কম, উচ্চকক্ষে একধরনের ভারসাম্য থাকবে। তবে বিএনপি বলেছে, তারা পিআর চায় না। তারা নিম্নকক্ষে প্রাপ্ত আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষে আসন বণ্টনের পক্ষে।

এর বাইরে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন ও চারটি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটিসহ কিছু কমিটির সভাপতি বিরোধী দল থেকে দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। যেভাবে ঐকমত্য হয়েছে, তাতে অর্থবিল ও আস্থা ভোট ছাড়া সংসদে অন্য যেকোনো বিষয়ে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবেন।

এ ছাড়া সরকারি হিসাব, অনুমিত হিসাব, বিশেষ অধিকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি এবং জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়–সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে সংসদে আসনের সংখ্যানুপাতে বিরোধী দলের মধ্য থেকে নির্বাচন করা হবে। ঐকমত্য কমিশন আশা করে, সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহির মধ্যে আনতে এই কমিটিগুলো ভূমিকা রাখতে পারবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, সংবিধানের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খানিকটা হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণ করে দেওয়া গেছে। চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ সংসদীয় কমিটিসহ কিছু কমিটির সভাপতি হবেন বিরোধী দল থেকে। এ ছাড়া ইসি গঠনে প্রধানমন্ত্রীর অবারিত ক্ষমতা থাকছে না। সব না হলেও অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে।