মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার আজ, ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল থেকে সরে গেলেন মিডিয়া সম্পাদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন আজ শনিবার। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন প্রার্থীরা।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক তিন সমন্বয়কের নেতৃত্বে গঠিত ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল থেকে সরে গেছেন মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক ফাহির আমিন। গতকাল রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন।
সর্বশেষ সংশোধিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামীকাল ১৪ সেপ্টেম্বর। ওই দিনই শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। এরপর ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত একাডেমিক ভবনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ভিপি পদে ২০ জন, জিএস পদে ১৪ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এদিকে নির্বাচন ঘিরে এখন পর্যন্ত নয়টি প্যানেলের আত্মপ্রকাশ হয়েছে।
তিন সাবেক সমন্বয়কের প্যানেল থেকে সরে দাঁড়িয়ে ফাহির আমিন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আসন্ন রাকসু নির্বাচনে আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেল থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। ব্যক্তিগত ও পারিপার্শ্বিক কারণে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং প্যানেল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’
ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি ও ভিডিওর গোপনীয়তা রক্ষায় সুরক্ষা নীতি প্রণয়নসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচনের একদল নারী প্রার্থী। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এসব দাবি জানান। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’–এর ভিপি প্রার্থী তাসিন খান।
তাঁদের অন্য দাবিগুলো হলো, অনলাইন আচরণবিধি ও তথ্য যাচাইপ্রক্রিয়া প্রণয়ন; অপরাধ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা স্পষ্ট করে অফিশিয়াল সুরক্ষা নীতি প্রণয়ন; ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত আলো, সিসিটিভি ও নিরাপত্তা টহল বাড়িয়ে নারীবান্ধব অবকাঠামো ও সুরক্ষা নিশ্চিত; সাইবার সেফটি ও জেন্ডার রেসপন্স সেল গঠন; বট বা ফেক আইডি নিয়ন্ত্রণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল বা স্বীকৃত গ্রুপ-পেজে সদস্যদের অ্যাকসেস যাচাই করা এবং প্রতিটি বিভাগ, হল ও প্রশাসনিক ইউনিটের জন্য ভেরিফায়েড সোশ্যাল মিডিয়া পেজ বা গ্রুপ চালু।
লিখিত বক্তব্যে ভিপি প্রার্থী তাসিন খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন পরিবেশ ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পেজে বিভ্রান্তিকর তথ্য, গুজব, চরিত্র হনন, ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং নারী শিক্ষার্থীদের ছবি-ভিডিও অনুমতি ছাড়া ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব নিয়ে বারবার অভিযোগ জানানো হলেও প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। ভোটার তালিকায় শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর প্রকাশ করে নিরাপত্তাহীনতা আরও বাড়িয়েছে।