নওগাঁর রাণীনগরে নিলামের নামে ইচ্ছামতো একটি স্কুলের গাছ কেটে হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। নিলামে ৫টি গাছ কাটার কথা থাকলেও ৯টি কাটা হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা সদরের রাণীনগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এই গাছ হরিলুটের ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আজাদুল হক নামে এক ব্যক্তি বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে- রাণীনগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ঝড়েপড়া ৫টি গাছ কাটার কথা থাকলেও বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনুমতি ব্যতীত অতিরিক্ত আরও ৪টি গাছ কেটেছেন। এতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের সৌন্দর্য মারাত্মকভাবে নষ্ট হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, স্কুলের পশ্চিম দিকের ভবনের পেছনে মেহগনি গাছের বাগান রয়েছে। সেই বাগানের ঝড়েপড়া ৫টি মেহগনি গাছ গত ৩১ আগস্ট নিলাম কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তার কার্যালয়ে নিলাম ডাকের মাধ্যমে ১৪,৩৮৪ টাকায় বিক্রি করা হয়। নিলাম ডাকের সাত কর্মদিবসের মধ্যে নিলামের সব অর্থ জমা দিয়ে নিজ খরচে গাছগুলো কাটার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
অভিযোগ উঠেছে- ওই নিলামে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান মৃধা কৌশলে নিজেই একজন ছেলেকে ব্যবহার করে নিলামে গাছগুলো ডেকে নেন। এরপর গত কয়েকদিন আগে নিলামের ৫টি গাছের স্থানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে ৯টি গাছ কেটে অতিরিক্ত ৪টি গাছ হরিলুট করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ভেতরে বসবাসরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ওই স্থানে ৯টি মেহগনি গাছ ছিল। নিলাম প্রাপ্ত ব্যক্তি ৫টি গাছের স্থানে ৯টি গাছ কেটে নিয়ে গেছেন।
অতিরিক্ত গাছ কাটার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাণীনগর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান মৃধা বলেন, ‘নিলাম অনুসারেই ৫টি গাছ কর্তন করা হয়েছে। অতিরিক্ত কোনো গাছ কাটা হয়নি। অনেকে শত্রুতা করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।’
এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিলাম কমিটির সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ‘নিলামে উল্লেখ করা ৫টি গাছের স্থানে ১টি গাছও বেশি কর্তন করার কোনো সুযোগ নেই। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’