তেঁতুলিয়ায় ধরা পড়া ৬ ফুট লম্বা অজগর সিংড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত

তেঁতুলিয়ায় ধরা পড়া ৬ ফুট লম্বা অজগর সিংড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আবারও ধরা পড়েছে একটি অজগর। প্রায় ছয় ফুট লম্বা ও পাঁচ কেজি ওজনের সাপটি চা–বাগানের একটি গাছের শাখা থেকে উদ্ধার করেন স্থানীয় লোকজন। পরে বন বিভাগ সাপটি দিনাজপুরের সিংড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার দুপুরে তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের ময়নাগুড়ি এলাকার একটি চা–বাগানের বড় গাছের ডালে পেঁচিয়ে ছিল অজগরটি। স্থানীয় কায়েকজন সাপটি দেখতে পেয়ে আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পরও সাপটি তাঁরা নামাতে পারেননি। বড় আকৃতির সাপ দেখে কৌতূহলী হলেও কেউ ধরতে সাহস পাননি। খবর পেয়ে স্থানীয় পাথরশ্রমিক ফুলবর রহমান গিয়ে অজগরটি ধরেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সাপটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খরগোশ রাখার খাঁচায় রাখেন তিনি।

ফুলবরের স্ত্রী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার স্বামী পাখি আর প্রাণী খুবই ভালোবাসেন। সাপ ধরার সাহসও বেশি। তিনি সাপটি বাড়িতে এনে খোরগোশ রাখার একটি খাঁচায় রেখেছিলেন। রাতে খাবার (মুরগি ও ব্যাঙ) খেতে দিলেও অজগরটি কিছু খায়নি। আমাদের আত্মীয়স্বজনেরা সাপটি দেখতে চেয়েছিলেন, এ জন্য কিছুক্ষণ দেরিতে বন বিভাগের কাছে সাপটি দিতে চেয়েছিলেন।’

পঞ্চগড় বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘রোববার রাত ও সোমবার সারা দিন অজগরটি ফুলবরের বাড়িতেই ছিল। গতকাল সন্ধ্যায় আমরা ওই বাড়িতে যাই। প্রথম দিকে তাঁরা সাপটি দিতে চাচ্ছিলেন না। তাঁদের নাকি কোন আত্মীয় সাপটি দেখতে আসবেন। বেশ কিছুক্ষণ থাকার পর রাতে আমরা সেখান থেকে ফিরে আসি। এর কিছুক্ষণ পর ফুলবর নিজেই অজগরটি পঞ্চগড় বন বিভাগের কার্যালয়ে পৌঁছে দেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর সেটিকে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয় এবং দুপুরে অজগরটি সেখানে অবমুক্ত করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর তেঁতুলিয়ার তিরনইহাট ইউনিয়নের পিঠাখাওয়া এলাকা থেকে সাত ফুট লম্বা আরেকটি অজগর উদ্ধার করে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছিল।