১৯ দিন পর মওলানা ভাসানী সেতুতে আলো জ্বলে উঠল

১৯ দিন পর মওলানা ভাসানী সেতুতে আলো জ্বলে উঠল

আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর উপর নির্মিত মওলানা ভাসানী সেতুতে মঙ্গলবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে আলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এখন থেকে সেতুর শোভাবর্ধন ও পথচারীদের জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যায় আলো জ্বালানো হবে।

এতে সেতুর সৌন্দর্য বর্ধন ও সেতুসহ দুই পারের মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে খুশির আমেজ লক্ষ্য করা গেছে।

২০ আগস্ট গাইবান্ধার মওলানা ভাসানী সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের দিন দুপুরে সেতুর সৌন্দর্যবর্ধনে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক বাতি ও রিফ্লেক্স লাইটসহ সংযোগ তার চুরি হয়ে যায়। ফলে দীর্ঘ ১৯ দিন সেতুসহ আশপাশে ছিল ঘুটঘুটে অন্ধকার। দর্শনার্থীরা সেতু দেখতে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যান।

এ নিয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা হলে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছে চোরাই তার না পাওয়া গেলেও এলজিইডি কর্তৃপক্ষ নতুন সংযোগ তার ও রিফ্লেক্স লাইট লাগিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেতুতে প্রথম আলো জ্বালাতে সক্ষম হন।

সেতুতে আলো জ্বলছে- এই খবরে দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ করতে। তবে চুরি প্রতিরোধে দুইপারে পুলিশ প্রহরা বসানো হয়েছে।

১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ ও ও ৯.৬ মিটার প্রস্থের পিসি গার্ডারসহ এ সেতু নির্মাণে ব্যয় হয় ৯২৫ কোটি টাকা। সেতুটি নির্মিত হয়েছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুরঘাট এলাকায়। অপর প্রান্তে কুড়িগ্রামের চিলমারী ঘাট। সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের দূরত্ব প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার কমে গেছে; সময় সাশ্রয় হয়েছে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা। গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের নয় বরং উত্তরাঞ্চলের আরও বেশ কয়েকটি জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ সহজ হয়েছে বলে এলজিইডি গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চক্রবর্তী জানান।