খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে পচা নিম্নমানের চাল বিতরণ, গুদাম সিলগালা

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে পচা নিম্নমানের চাল বিতরণ, গুদাম সিলগালা

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে পচা ও নিম্নমানের চাল বিতরণের অভিযোগ উঠেছে ডিলারদের বিরুদ্ধে। কার্ডধারী গ্রাহকের দাবি, চাল খুবই নিম্নমানের এবং খাবার অযোগ্য। সেই সঙ্গে ওজনেও কম দিচ্ছে গ্রাহকপ্রতি এক কেজি করে চাল।

উপজেলায় ৪১ জন খাদ্যবান্ধব ডিলারের মাধ্যমে ৬টি ইউনিয়নের ২০,২০২ জন কার্ডধারীকে ৬০৬ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতিটি উপকারভোগী কার্ডধারীকে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও ডিলাররা গ্রাহক প্রতি এক কেজি করে চাল ওজনে কম দিচ্ছে। দুর্গন্ধযুক্ত পচা নিম্নমানের চাল বিতরণ করছে।

উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের ইদ্রিস আলী, আউয়াল, হাসান ও বকুল মিয়া জানান, এবার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ডিলার আল আমিন যে নিম্নমানের চাল দিয়েছে তা একেবারেই খাওয়ার অনুপযোগী। অনেকেই ওই চালের ভাত খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

আরেক ভুক্তভোগী খেতারচর গ্রামের ফারুক হোসেন ওই পঁচা চাল নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে এলে টনক নড়ে খাদ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শৌলমারী ইউনিয়নের ৩টি ডিলার পয়েন্টে অভিযান চালান।

এ সময় ওই নিম্নমানের চাল ডিলারের গুদামে দেখতে পান। ওজনে দেখা যায় ৫০ কেজির বস্তায় ৪৬ কেজি এবং ৩০ কেজির বস্তায় ২৭ কেজি। সেখান থেকে আলামত সংগ্রহ করে এবং ডিলারদের তথ্যের ভিত্তিতে রৌমারী বাজারের চাল ব্যবসায়ী ময়নাল হকের দুটি গোডাউনে অভিযান চালায়। ওই গুদাম থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাল সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ইউএনও গোডাউন দুটি সিলগালা করে।

একাধিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র চট্রগ্রাম হালিশহর হইতে আসা ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা চাল যোগসাজশ করে পাল্টাপাল্টি করে।

ইউএনও উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, অভিযুক্ত চাল ব্যবসায়ীর গোডাউন ঘর ইতোমধ্যে সিলগালা করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আর কোনো ব্যবসায়ী এই অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।