বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয় সহকারী জজ পদে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। মোট ১০০টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রকাশ করেছে এ বিজ্ঞপ্তি। এটি অষ্টাদশ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (১৮শ বিজেএস) পরীক্ষার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিধি অনুযায়ী পদ কমতে বা বাড়তে পারে। অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ ও জমাদান শুরু হবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে।
আগ্রহী প্রার্থীদের বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইট bdjs.gov.bd-এর মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
বেতন স্কেল: ৩০৯৩৫–৬৪৪৩০ টাকা। ২০১৬ সালে বর্ণিত সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রদত্ত অন্য সুবিধাও পাবেন।
আবেদনের জন্য প্রার্থীর বয়স ১/১/২০২৫ তারিখে অনধিক ৩২ বছর হতে হবে।
অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ ও জমাদান শুরু হবে ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ দুপুর ১২টা থেকে। আগ্রহীরা আবেদন করতে পারবেন ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
আবেদন ফি ১২০০/- টাকা টেলিটকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। পরীক্ষার ফি জমাদানের শেষ দিন ১ অক্টোবর ২০২৫ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট।
প্রাথমিক পরীক্ষা: সব প্রার্থীকে ১০০ নম্বরের এমসিকউ (MCQ–Multiple Choice Question) পদ্ধতিতে প্রাথমিক পরীক্ষায় (Preliminary Examination) অবতীর্ণ হতে হবে। এ পরীক্ষায় মোট ১০০টি থাকবে। প্রতিটি এমসিকউ–এর মান হবে ১ (এক) নম্বর। তবে প্রতিটি এমসিকিউ–এর ভুল উত্তরের জন্যে ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হবে। সব প্রার্থীকেই লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রাক্–যোগ্যতা হিসেবে প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রাথমিক পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর ৫০। প্রাথমিক পরীক্ষায় সাধারণ বাংলা, সাধারণ ইংরেজি, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়সমূহ, সাধারণ গণিত, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা এবং আইন বিষয়সমূহের ওপর প্রশ্ন করা হবে। প্রাথমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর কোনো প্রার্থীর লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে যোগ করা হবে না। এ পরীক্ষা–সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘তথ্য, নির্দেশনা ও বিস্তারিত সিলেবাস’ নামীয় পুস্তিকার প্রথম অধ্যায়ের ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে।
১৮শ বিজেএস পরীক্ষা–২০২৫–এ ১০০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যেসব পরীক্ষার্থী প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন, শুধু তাঁরাই লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। লিখিত পরীক্ষার বিষয়সমূহে গড়ে ৫০ শতাংশ নম্বর পেলে একজন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে গণ্য হবেন। কোনো পরীক্ষার্থী কোনো বিষয়ে ৩০ শতাংশের কম নম্বর পেলে তিনি লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য বলে গণ্য হবেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘তথ্য, নির্দেশনা ও বিস্তারিত সিলেবাস’ নামীয় পুস্তিকার প্রথম অধ্যায়ের ১৪–১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর ৫০। এ–সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘তথ্য, নির্দেশনা ও বিস্তারিত সিলেবাস’ নামীয় পুস্তিকার ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক পরীক্ষা অক্টোবর ২০২৫ মাসের শেষ ভাগে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাথমিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ঢাকা মহানগরে অনুষ্ঠিত হবে। বিস্তারিত সময়সূচি পরে কমিশনের ওয়েবসাইট ও দৈনিক পত্রিকায় জানানো হবে।
*বিস্তারিত সব তথ্য জানতে