স্বামী–স্ত্রীর ঝগড়া ঠেকাতে কী পরামর্শ দিলেন এই বিশেষজ্ঞ
সঙ্গীকে ঠিকমতো বুঝতে না পারাটাকেই অনেকে দাম্পত্য কলহের অন্যতম কারণ মনে করেন; কিন্তু ব্যাপার আসলে উল্টো। সঙ্গীকে নয়; বরং নিজেকে বুঝতে না পারলেই সঙ্গীর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ঘন ঘন ঝগড়া হলে সঙ্গীর দোষ খোঁজার আগে নিজের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। সঙ্গীর প্রতি নিজের আচরণ নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাবতে হবে। নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করতে হবে।
সঙ্গীর ব্যক্তিস্বাধীনতা নষ্ট করা যাবে না। এটি অত্যন্ত খারাপ মানসিকতা। সঙ্গীর কোনো কিছু আপনার অপছন্দ হলে তাকে বুঝিয়ে বলুন। সম্ভব হলে নিজে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। সম্পর্কে দুজনকেই ছাড় দিতে হবে। অন্যের ওপর জেদ দেখালে ঝগড়া আরও বাড়বে।
নিজের সিদ্ধান্ত সঙ্গীর ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। যেকোনো পারিবারিক বা অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করুন। আপনার মতামত তাঁকে খুলে বলুন, তাঁর মতামতকেও গুরুত্ব দিন। কিছু করার আগে সঙ্গীর সম্মতি নিন। প্রয়োজন মনে না করলেও আলোচনা করুন, এতে আপনার প্রতি বিশেষ অনুভূতি জন্মাবে। এসব ছোট বিষয় আপনার দাম্পত্য সম্পর্কে ভালোবাসা ও আস্থা বাড়বে।
দাম্পত্যের সম্পর্কে উপার্জনকারী নিজেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। এটি ঠিক নয়। যিনি ঘরে থাকেন, তিনি পরিবারের অনেক দায়িত্ব নিঃশব্দে পালন করেন। তাই স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে কেউ বিশেষ, কেউ গুরুত্বহীন—এমন মনোভাব দূর করতে হবে। ঘরে–বাইরে সাংসারিক সব দায়িত্ব পালনে একে অপরকে যথাসম্ভব সাহায্য করতে হবে।
আবেগের বশে সঙ্গীর এমন আবদার পূরণ করবেন না, যা আপনি সব সময় চালিয়ে নিতে পারবেন না। আপনার সাধ্যের সীমারেখা সম্পর্কে সঙ্গীকে আগে থেকেই অবগত করুন।
স্বামী–স্ত্রীর একে অপরের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সাময়িক রাগের কারণে পরিবার নিয়ে কটু কথা বলা যাবে না। এমন আচরণ সম্পর্ক বিষিয়ে তোলে।