রাসুলের পথ অনুসরণ করে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

রাসুলের পথ অনুসরণ করে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন রাহমাতুল্লিল আলামিন তথা সমগ্র বিশ্বের মানুষের জন্য রহমতস্বরূপ। তিনিই প্রথম বিশ্বে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার আগমনের আগে পৃথিবীতে অন্ধকার যুগ ছিল। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বপ্রথম ঘোষণা করেন, পৃথিবীর সব মানুষ সমান। সাদার ওপর কালোর কিংবা কালোর ওপর সাদার বিশেষ কোনো মর্যাদা নেই।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ উপলক্ষে ‘ইসলামের নবী (সা.): মুসলিম উম্মাহ গঠনের অক্ষ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন বাংলাদেশে অবস্থিত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা কাজী আবু হুরায়রা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীরমোহাম্মদী।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পথ অনুসরণকারী মুসলমানরা ভাই-ভাই। মুসলমানরা যাতে কখনও বিপদের সম্মুখীন না হয়, সেজন্য আমাদের প্রিয় নবী মুসলমানদের ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, তোমরা ঐক্যের রশ্মিকে শক্ত করে ধরো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যেও না। বর্তমান ইসলামী বিশ্বে যে সংকট বিরাজ করছে তার মূলে রয়েছে মুসলমানদের মধ্যকার বিভাজন। আর এই বিভাজন দূর করতে হলে রাসুল (সা.)-এর পথ অনুসরণ করতে হবে এবং তাকে কেন্দ্র করেই মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

উল্লেখ্য, এ বছরের ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় রাসুলের ১৫০০তম জন্মবার্ষিকী পূর্ণ হলো।

ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বৈঠকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সুপারিশে ২০২৫ সালকে ‘হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর ১৫০০ তম জন্মবার্ষিকী’ হিসেবে সারা মুসলিম বিশ্বে উদযাপন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং এ বছর বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আয়োজনের সঙ্গে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হচ্ছে।

এ উপলক্ষে ওআইসিভুক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সবার একমতে একটি প্রস্তাবও পাস হয়েছে এবং সবাই মহানবী (সা.)-এর ১৫০০তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আয়োজনে একমত হয়েছেন।

বক্তারা এই আয়োজনকে মহানবী (সা.)-এর চিরন্তন আদর্শকে চর্চা করার সুযোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।