হজরত মুসআব ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, (তার বাবা) হজরত সাদ (রা.)-এর ধারণা ছিল, তিনি ওইসব সাহাবির তুলনায় অধিক মর্যাদাবান, যারা ধন-সম্পদ ও বীরত্বের কারণে তার তুলনায় নিচের স্তরের। তাই রাসুল (সা.) তার এ ধারণা সংশোধনের জন্য বললেন, ‘তোমাদের দুর্বল ও অসহায়দের বরকতেই তো তোমাদের সাহায্য করা হয় এবং রিজিক দেওয়া হয়!’ (বোখারি: ২৮৯৬)
শিক্ষা
১. আল্লাহর কাছে মানুষের মর্যাদা পার্থিব ধন-সম্পদ ও শক্তি-প্রভাবের কারণে নয়। বরং ইমান-আমল-তাকওয়া—এসবই হচ্ছে আল্লাহর কাছে মর্যাদার মাপকাঠি।
২. অন্য কাউকে নিজের তুলনায় ছোট দেখলেই তুচ্ছ মনে না করা। কারণ আল্লাহর কাছে কার মর্যাদা বেশি, তা শুধু আল্লাহই জানেন।
৩. দুর্বল ও অসহায় ব্যক্তিরা আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীল হয়ে থাকেন। আর সচ্ছল ও শক্তিমানরা অনেক সময় নিজের সম্পদ ও শক্তিমত্তার কারণে নির্ভার থাকেন। ফলে আল্লাহর পক্ষ থেকে দুর্বল ও অসহায়দের কারণে সাহায্য ও রিজিক অবতীর্ণ হয়। যার ভাগ শক্তিমানরাও পেয়ে থাকেন।
৪. সমাজের অসহায় ও দুর্বল শ্রেণির লোকদের প্রতিও শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রাখা। কারণ তাদের মাধ্যমে অন্যদের ওপর আল্লাহর সাহায্য ও রিজিক অবতীর্ণ হয়।
৫. মাঝেমধ্যে সমাজের অসহায় ও দুর্বল লোকদের সঙ্গে সময় কাটানো, তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করা, তাদের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করা। এতে অন্তরের অহমিকা দূর হবে ও তাদের ভালো গুণগুলো জানা হবে।