বাসা-বাড়িতে বা কোনো পরিবেশে কেউ একা থাকলে পাপ কাজের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন এবং শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে গুনাহের কাজে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে আবার অনুশোচনায় ভুগতে থাকেন।
নিজেকে একটু নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই পাপ থেকে বেঁচে থাকতে পারতেন, কিন্তু তা হলো না; পাপে জড়িয়েই পড়লেন, গুনাহের খাতায় নাম উঠে গেলো। এমন অনুশোচনা কুড়েকুড়ে খায় এবং নিজের মাঝে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন।
ইসলামী বিশেষজ্ঞদের মতে, কেউ পাপ বা গুনাহের কাজে জড়িয়ে পড়ার পর যদি নিজের ভুল বুঝতে পারেন এবং অনুশোচনায় ভোগেন, তবে তার এই ভুল বুঝতে পারা ও পরিবর্তনের চেষ্টা— এটাই পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রথম বড় পদক্ষেপ। তবে শুধু অনুশোচনা করাই যথেষ্ট নয়; অনুশোচনার পাশাপাশি কিছু বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি, যে নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রণ করে আখেরাতের জন্য কাজ করে; আর মূর্খ সে-ই, যে নফসের পেছনে চলে অথচ আল্লাহর রহমতের আশা করে। (তিরমিজি)
আরও পড়ুন
কী করবেন?
পাপের কারণগুলো সরিয়ে ফেলুন। যে পরিবেশ, সঙ্গ বা অভ্যাস আপনাকে পাপের দিকে টেনে নেয়, তা থেকে বেরিয়ে আসুন। যেমন খারাপ বন্ধুদের আড্ডা, অশ্লীল কনটেন্ট,অনুচিত সম্পর্ক ইত্যাদি।
দৃঢ় সংকল্প ও ইচ্ছা
অন্তরে দৃঢ় সংকল্প নিন যে আর কখনো পাপে করবেন না এবং পাপের মাধ্যমগুলো স্পর্শ করবেন না।
নিজেকে ভালো কাজে ব্যস্ত রাখুন
ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলেছেন, যে মন ভালো কাজে ব্যস্ত থাকে না, তা মন্দ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
তাই এমন কোনো নেক কাজ বা উপকারী প্রজেক্ট খুঁজুন যা আপনাকে পুরো সময় ব্যস্ত রাখবে।
আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হবেন না
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, হে আমার বান্দারা, যারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই তিনি সব গুনাহ মাফ করেন। (সুরা আয-যুমার, আয়াত : ৫৩)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, যারা তওবা করে, ঈমান আনে ও সৎকাজ করে—আল্লাহ তাদের গুনাহগুলোকে সওয়াবে পরিণত করে দেবেন। (সুরা আল-ফুরকান, আয়াত : ৭০)
অর্থাৎ তওবা মানেই শুধু মুখে ক্ষমা প্রার্থনা নয়; বরং পাপ থেকে বিরত থাকা, সৎ কাজ শুরু করা এবং সেই পথে অটল থাকা।
সূত্র : অ্যাবাউট ইসলাম