দাঁতে আটকে থাকা খাবার খেয়ে ফেললে কি নামাজ নষ্ট হয়ে যায়?
প্রশ্ন: নামাজের সময় দাঁতে আটকে থাকা খাবার খেলে কি নামাজ নষ্ট হয়ে যায়? কেউ যদি নামাজ শুরু করার আগে খাবার খায়, ওই খাবারের কোনো অংশ দাঁতে আটকে থাকে, নামাজ আদায়ের সময় ওই খাবার ছুটে যায় এবং সে খেয়ে ফেলে, তাহলে কি নামাজ ভেঙে যাবে?
উত্তর: নামাজরত ব্যক্তির দাঁতে আটকে থাকা খাবার যদি একটি ছোলার দানার চেয়ে ছোট বা কম হয়, তাহলে তা গিলে ফেললে নামাজ নষ্ট হবে না। আর যদি দাঁতে আটকে থাকা খাবার ছোলার সমান বা তার চেয়ে বেশি হয় তাহলে তা খেয়ে ফেললে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়।
সুতরাং কেউ যদি নামাজরত অবস্থায় দাঁতে আটকে থাকা খাবার খেয়ে ফেলে যার পরিমাণ একটি ছোলার দানার সমান বা তার চেয়ে বেশি, তাহলে তার কর্তব্য তখনই ওই নামাজ নতুন করে শুরু করা। মাসআলা জানা না থাকায় ওই নামাজ সম্পন্ন করলে পরবর্তীতে তা পুনরায় আদায় করতে হবে।
সংক্ষেপে নামাজ ভেঙে যাওয়ার প্রসিদ্ধ ১৯টি কারণ
১. কেরাতে অর্থ বিকৃত হয়ে যায় এমন ভুল করা।
২. কথা বলা।
৩. কাউকে সালাম দেওয়া।
৪. কারো সালামের জবাব দেওয়া।
৫. ব্যথা বা কষ্টে উহ-আহ শব্দ করা।
৬. অপ্রয়োজনে কাশি দেওয়া।
৭. আমলে কাসির করা অর্থাৎ নামাজের বাইরের কোনো কাজ এত বেশি বা এমনভাবে করা যে দেখে মনে হয় নামাজে নেই।
৮. দুনিয়াবি দুঃখ বা আনন্দে শব্দ করে কাঁদা।
৯. তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় ধরে শরীরের সতর অনাবৃত থাকা।
১০. নামাজের বাইরের কেউ লোকমা দিলে অর্থাৎ কোনো ভুল ধরিয়ে দিলে তা গ্রহণ করা। যেমন নামাজের কেরাতে ইমাম যদি কোনো ভুল করেন, নামাজে অংশগ্রহণ করেনি এমন কেউ লোকমা দেয় এবং তিনি তা গ্রহণ করে কেরাত সংশোধন করেন, তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে।
১১. নামাজরত অবস্থায় কোনো সুসংবাদ বা দুঃসংবাদ পেলে শব্দ করে উত্তর দেওয়া বা প্রতিক্রিয়া দেখানো।
১২. অপবিত্র জায়গায় সিজদা দেওয়া।
১৩. কিবলার দিক থেকে পুরোপুরি ঘুরে যাওয়া।
১৪. কোরআন দেখে তিলাওয়াত করা।
১৫. শব্দ করে হাসা।
১৬. আল্লাহর কাছে নিজের ভাষায় দুনিয়াবি কিছু চাওয়া।
১৭. কারো হাঁচির জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা।
১৮. খাওয়া বা পান করা।
১৯. মুক্তাদির ইমামের আগে বেড়ে যাওয়া। নামাজের জামাতে মুক্তাদি যদি ইমামের আগে বেড়ে যায় বা সামনে চলে যায়, তাহলে মুক্তাদির নামাজ ভেঙে যায়।
এখানে আমরা সংক্ষেপে নামাজ ভেঙে যাওয়ার প্রসিদ্ধ ১৯টি কারণ উল্লেখ করলাম। এ ছাড়াও নামাজ ভেঙে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ আছে।