কোরআন কেন আমাদের কাহিনি শোনায়?

কোরআন কেন আমাদের কাহিনি শোনায়?

পূর্ববর্তী নবি-রাসুলগণ ও আল্লাহর অনুগত ও অবাধ্য জাতিসমূহের ঘটনা কোরআনুল কারিমের একটি বৃহৎ অংশ জুড়ে আছে। কোরআনে এসব ঘটনা বর্ণনার উদ্দেশ্য নিছক গল্প বলা বা ইতিহাস বর্ণনা করা নয়। এখানে আমরা কোরআনের ঘটনা বর্ণনার প্রধান ৪ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সংক্ষেপে তুলে ধরছি।

পূর্ববর্তী নবি-রাসুলগণের ঘটনা বর্ণনা করার মাধ্যমে নবিজি (সা.) ও তার সাহাবিদের সান্ত্বনা ও উৎসা দেওয়া হয়েছে, যেন তারা ধৈর্য ধারণ করেন, বিপদ-আপদ দেখে ভেঙে না পড়েন। পূর্ববর্তী ইমানদারদের মতো ইমানি পরীক্ষায় অবিচল থাকেন। আল্লাহর সাহায্যের প্রতিশ্রুতিতে ভরসা রাখেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন, আর রাসূলদের এসকল সংবাদ আমি তোমার কাছে বর্ণনা করছি যার দ্বারা আমি তোমার মনকে স্থির করি আর এতে তোমার কাছে এসেছে সত্য এবং মুমিনদের জন্য উপদেশ ও স্মরণ। (সুরা হুদ: ১২০)

পূর্ববর্তী নবি-রাসুলগণের ঘটনা বর্ণনা করে কোরআন আমাদের বলে, পৃথিবীতে যুগে যুগে আগত সব নবি-রাসুলের দাওয়াত এক, বিশ্বাস ও কর্মপন্থা এক। মুহাম্মাদ (সা.) নতুন কিছু নিয়ে আসেননি; বরং তিনিও পূর্ববর্তী রাসুলগণের মতোই আল্লাহর পাঠানো একজন রাসুল।

আল্লাহ তাআলা বলেন, বল, ‘আমি রাসুলদের মধ্যে নতুন নই। আর আমি জানি না আমার ও তোমাদের ব্যাপারে কী করা হবে। আমার প্রতি যা ওহি করা হয়, আমি কেবল তারই অনুসরণ করি। আর আমি একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র’। (সুরা আহকাফ: ৯)

কোরআন কেন আমাদের কাহিনি শোনায়?

কোরআন কেন আমাদের কাহিনি শোনায়?