প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের পালাকাটা থেকে বদিউদ্দিন পাড়া সড়কের বেহাল দশা। যানবাহন নিয়ে চলাচল করা তো দূরের কথা হেঁটে চলাও দুষ্কর এ রাস্তায়। বদিউদ্দীন পাড়া হতে সবুজবাজার পর্যন্ত ৪/৫ কিলোমিটার সড়কে নাজেহাল এলাকাবাসী।
সরজমিন গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। জনগণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হওয়া সত্ত্বেও এ সড়কটি বছরের পর বছর ধরে অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে। ৮-১০ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এ সড়কে। এর আগে সড়কটিতে ইট বিছিয়ে উন্নয়ন কাজ করা হয়েছিল। পরে ইট উঠে গিয়ে আঁকা-বাঁকা হয়ে গেছে। এত বেশি খানাখন্দে ভরা কোনো মুমূর্ষু রোগী কিংবা ডেলিভারিজনিত রোগী হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে নেয়া অসম্ভব। এ সড়ক নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে বদিউদ্দীন পাড়া, সাইটপাড়া, ছরিপাড়া, বকশিয়াঘোনাসহ কয়েকটি এলাকার প্রায় ৩০-৪০ হাজার বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর মালেক বলেন, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে রোগী, নারী ও বৃদ্ধ সবাই ভোগান্তিতে আছে। এই সড়ক ৩০-৪০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা। এ ছাড়া, রাজাখালী বিইউআই ফাজিল মাদ্রাসা, রাজাখালী এয়ারআলী খান উচ্চ বিদ্যালয়, সুন্দরী পাড়া দাখিল মাদ্রাসা, ফৈজুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ও ফৈজুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিনের যাতায়াতও এই সড়কের ওপর নির্ভরশীল। আমরা জোরালো দাবি করছি সড়কটি যেন দ্রুত সময়ে সংস্কার করা হয়। একজন স্থানীয় অটোরিকশাচালক বলেন, রাস্তার অবস্থার কারণে যাত্রী তুলতে পারি না, আয়ও কমে গেছে। গাড়ি চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আবছার বদু বলেন, আমার ইউনিয়নের বেশির ভাগ রাস্তা অকেজো। ভাঙাচুরা। উপজেলা প্রশাসন ও ইউপি’র প্রশাসকের কাছে অনুরোধ করি যেন দ্রুত সংস্কার করে মানুষের কষ্ট দূর করে। রাজাখালী ইউপি সচিব আলামিন বলেন, রাস্তাটির মাঝে অনেক গর্ত হয়েছে। কীভাবে উন্নয়ন করা যায় ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলবো। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী সৌরভ দাশ বলেন, এ সড়কটা কোনো প্রকল্পতে নাই। সামনে প্রকল্প আসলে, কোনো একটা প্রকল্প দিয়ে সংস্কার করা হবে।
আরও পড়ুন